বৃষ্টির অব্যবহিত পরে,ভেজা পাখিরা-
কেমন থাকে?
কেনো ওড়ে যায়-
আবেশে ভর করে?


সে-কী জানে না?
নিজের কাছে নিজের আড়াল ভেংগে গেলে
সে নিজেই হয়ে যায়- জ্যোতিশ্বর,
দু'জনার মাঝে আর পর্দা থাকে না,
স্রষ্টা আর সৃষ্টি তখন-এক বরাবর!
কোনো আঁধার তাকে স্পর্শ করতে পারে না,
লোকচক্ষুর আড়ালও তা'কে আড়াল দিতে পারে না।
নির্জলা সত্যে প্রকাশিত হয়ে যায় সে,
                              বৃষ্টির অব্যবহিত পরে।


কেনো পালায় সেই- মনোবসন্তের পাখি?
ফাল্গুন ধরা না দিয়ে,চির শ্রাবণ উপহার পেয়েই কী?
তা-ই বুঝি বলে যায়-
রিমঝিম বরিষণে,উন্মাতাল শ্রাবণের গানে-
চৈতালী বৃষ্টি?                        


বর্ষণ থেমে গেলে;পাখিরা কোথায় তার-
                              ডানার ভার খুলে?
এক গাছ থেকে অন্য গাছে,
                    এ ডাল থেকে অন্য ডালে,
লোকালয় ছেড়ে নিভৃতে কোথায়;কোন-
                        গভীর অরণ্যে যায়,
                                 গহীন জংগলে?
চির বিষাদী বলেই কী- অমন লাল চোখী?
সংযমে কুকড়ানো দেহে- কামার্ত আর্তি!


কাপতে থাকা,ঝাপ্টাতে থাকা-ভীন জাতের পাখি,
অদূরে কোথাও;আদরে স্ফীত,সোহাগ উন্মত্ত।
কাছে দূরে নেই যার কোনও সগোত্র।
বৃষ্টির পরেও যেমন বৃষ্টি আসে,
ফাল্গুন শেষে আরেক ফাল্গুনের অপেক্ষায় থেকে,
রাতের বুকে মুখ লুকোয়-চির বসন্তানুরাগী,
                                       ফাল্গুনী বৃষ্টি।