আমাদের পারস্পরিক বিরোধ;অসততা
               অসতর্কে ছিঁড়ে দিয়ে যায়- বুনট,
সুযোগ পেয়ে;খোলা সুতোতে সুঁচ পড়াতে আসে-
               কিছু- স্বার্থান্বেষী,সুবিধাবাদী!
আর আমরা একেকটি সরল সুতা
সুঁচের পর সুঁচে ঢুকে;ঝুলতে থাকি-
                                বোকার স্বর্গে।


আজকাল নিজ হাতে ছেঁটে ঘরে সেলাই করা
পোশাক পড়তে মেয়েরা প্রায় ভুলেই গেছে!
পাড়ায় পাড়ায় দর্জি-ঘরে তাই-
                      জামা-কাপড়ের ভীড়!
সংখ্যায় পোশাকও একেকজনের অগুন্তি!
ভুলে যায়- নিম্নবিত্ত;মধ্যবিত্তের আয়,
অন্যের জন্য পোশাক বানিয়ে দিয়ে
                      নিজে পড়বার আনন্দ।


প্রতিদ্বন্দ্বিতা'র বাজারে সুলভ ও সহজপ্রাপ্য কাটপিস
মোলায়েম সুতি ভুলে গিয়ে চমকায়-রেশমের চাকচিক্য!
বছরে-দুই ঈদে,পূজা পার্বণে পোশাক কেনার স্থলে; সাজে প্রতিদিন- নতুন পোশাকে,নতুন রংগে।
উৎসব যেনো লেগে-ই থাকে!  
এ-কে কি বলে?- মনোবিলাস?


ওরা জানে না-
যে মনে রাখে;সে মনেই রাখে,পোশাক বিষয় না!
যাকে মনে থাকে,সে থাকে-
     এক পোশাকে,এক রুপে,এক ঢঙে
বহুরুপে সাজিয়ে নেয়- মনের মানুষকে।


বাংলাদেশি বলতে কুন্ঠিত কেন,নারীরা?
মনে,মননে,সাজ,পোশাক,ধরণে-
বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুসরক
                          একেকজন যেনো বিদেশিনী!
কালো চুলে রঙ করা- সোনালী ময়ূরী,
গায়ের স্বাভাবিক ত্বকের সৌন্দর্য বদলে;ফর্সা পরী!
আমরা ভুলে যাই আমাদের নিজস্বতা,
বদলে দিই স্বাভাবিকতা,
অথচ আমাদের আমরা;নিজেদের রুপে
কতো না স্বতন্ত্র!কত কমনীয়,সুন্দর!


শিল্প,সাহিত্য,পোশাক,রান্না-
কোথায় পরোমুখাপেক্ষী নই আমরা?
নিজেরাই কেনো যেনো;নিজেদের
ভালোবাসতে জানি না!