সুখের প্রতিশ্রুতি হতে চেয়ে; যে তুমি হাতে হাত রেখে
বন্ধনের রাখি পরিয়েছিলে,
সে তুমিই শুরু থেকে অদ্যাবধি বন্ধনের রক্তক্ষরণ,
অ-সুখের স্মৃতি।


"সুখ" শব্দটি এখন আর ভাবনার বিষয় নয়!
যেমনটি ভাবিনি তোমার সাথে পরিচয়ের আগে।
ওটি কেবলই এক বিভ্রমের নাম।
চেয়েও মেলেনি, দাওনি। দিতে চাইলে, নাওনি।
জানি-না আদৌ সুখ সুখী করে কী-না কাওকে।
যারা পেয়েছে ভেবেছে,তাদের কেউ মদ্যপ,
কেউ বহুগামী পতিত, কেউ লম্পট।


বৈধতা অবৈধতার তোয়াক্কা না করে যারা
বেহায়া ফূর্তি করে,তাদেরকে ধরা হয় সুখী নারী।
বৈভবে সাজিয়ে দেখায়-;জীবন সুখের আরত।


সুখী কলিমুদ্দিন তার নামের "ন" বাদ দিয়ে সুখী।
"ন" তে "না" হয়, "ন" দিয়ে "নাই"
আছে ভাবলেই সুখ আছে, সুখের সূত্র সেটাই।
গানিতিক সূত্রে হিসেব পরিমাপ চলে-না সুখের
জানতে পারেনি যা আজো কোন বৈজ্ঞানিকে।


কলিমুদ্দি তাই গাছতলায় ঝরাপাতা কুড়োয়
ঠোঁটের আগুনে পোড়ায় অবহেলার অ-সুখ,
চুরুট কেনা লাগে না!
অ-সুখ সারলেই;সুখের আতিসয্যে
শান্তির ঘুম নেমে আসে চোখে,
যেমন বৃষ্টি নামে, খর বৈশাখে।


প্রার্থণায়, কান্নায় পাওয়া যায় যা
তার নাম আর যা-ই হউক, সুখ না!
অনায়াসে আসে যা কিছু প্রাপ্তিতে,
মানুষ কিনতে চায়;তা'র কী-যে!
বিত্তশালী হওয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতার;
এত কী দরকার?
সুখ কিনে খরিদ করবার বিষয় কী?
জয়ী হলেই সুখী হওয়া যায় কী?