বিষ দিতে চেয়েই বুঝি;বিষধর রত্ন-পাথর হলে?
হিরের মূল্যে নিজ মূল্য বাড়িয়ে,ছুড়ে ফেলে দিলে
                    মাটির ঢেলা'র মত অব মূল্যে?
ডুবে যেতে পারে এমন মৃত্যুকূপ জেনেও
মন বুঝি বাধা দিলো না-;নি:ঠুর আচরণে?


ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে পারলে?!


একসময় চোখের জল ফেলা মানুষগুলোই
বদলে যেতে পারে বেশ দ্রুত! তাদের প্রতিটি অশ্রু বিন্দু জমে নীল,নীল থেকে হয়-;হীরক স্ফটিক।
সবাই অমন বদলে নিতে পারে না-নিজ গতিপথ। উদ্বায়ী আবেগের বাষ্পে গড়তে জানে না-
ক্ষণস্থায়ী মেঘ,
তেমনি পারে না-আবেগী শব্দের সস্তা মোড়কে
বস্তার বেলুন ফাটানো কামার্ত শয্যা পেতে;
পৌঁছে যেতে- আলুথালু,বেপরোয়া-;সুখের শীর্ষে।


যে জানে,সে-ই জানে!
বেহালার ছরে আলতো স্পর্শে;
কী করে বেহালাকে কাছে টানে!
বাজাতে হয় কেমন করে,মন্থর থেকে তীব্র সুরে!
কোন সে সুরে একটানা সুর ধরে রেখে;
অনুনাদ তোলা যায় দুই সুরেলা যন্ত্রে,ভিন্ন তারে।


মাটির ঘরটা জুড়ে;ময়না পাখির মিষ্টি সুরেলা গান! তাকে আদরে যত্নে পোষ মানাতে দরকার,
                                     কোমল অন্ত প্রাণ,
দানা-পানি জোটাতে কতই বা আর লাগে?
যা লাগে,তা না থাকার রূঢ়তা;হীরক মনকে করেছে
                           অহংকারী;পাষাণ,নিষ্প্রাণ!


টুপ টুপ জল ঝরছে সোনাইর;সোনার নোলক বেয়ে।
ভেজা লাল গামছা খুলে,চুলগুলো রোদে মেলে,
প্রতিদিন এভাবেই জলে ভিজে;রোদে শুকায়
                                         প্রাত্যহিক দিন,
রাত্রি কাতরায়-;হীরক বেগনি বিষে।