পশ্চিম দিকেই কেনো শুধু হতে হবে নত?
তিনি কী কেবল একক দিক গত?
পাচ ওয়াক্ত নামাজেই কেনো দেখাতে হবে ভক্তি?
হৃদস্পন্দনে জিকির চলে; যার জন্য দিবা রাত্রি,
তাকে কেন জানাই তবে,শুধু ক্বিবলামুখী প্রণতি?


সে কী মহাশক্তি সূর্যের অস্তাচল গমনের দিক বলে?
দিনের যবনিকা পাতে নিশিথের শুরু বলে?
বাকি দিকগুলো কী তার জন্য নয়?
তবে কী মহা আধারে মুহ্যমান;আলোর নিমজ্জনেই রয়েছে স্রষ্টার সৃষ্টির গুঢ় রহস্য?
ভালোবাসা কী মেনে চলে দিক;কোন নিদ্দৃষ্ট?


এ যেন জ্যামিতিক আকার আকৃতিতে
বেহুদা খুজতে যাওয়া;সাকারে নিরাকারের,
আর প্রেমের পরিমাপ করতে যাওয়া;
মাপের ফিতায়।


ধরে নাও দিকভ্রান্ত আমি,
হৃদ ভজনালয়ে দিবারাত্রি ভজি যে স্রষ্টায়,
তার কাছে কী এই নিবেদন গ্রহণযোগ্য নয়?
পশ্চিমমুখীই বুঝি হতে হবে;শ্রদ্ধা জানাতে?


যে মহান কী-না বিরাজমান;সর্বত্র,
যার বসবাস কী-না মানুষের অন্তর,
তাকে খুজতে কেনো যেতে হবে ধর্মতীর্থ?
প্রণতি জানাতে;কেন খুজতে হবে ক্বিবলা?
যে কী-না চির আরাধ্য!


কেন প্রার্থণা মহান সমীপে দু'হাত তুলে?
যিনি কী-না আন্তরিক নিজেই
মমতাসিক্ত ভালোবাসা দিতে;বান্দাকে,
শ্রোতা যিনি;নির্বাকের,ভাষাহীনের,মূক ও বধিরের
এহেন দিক নির্বাচনের প্রহসন কী তবে
আমাদের জ্ঞানের স্বল্পতা ঢাকবার চেষ্টা?
না কী,বুঝবার ব্যার্থতা?


প্রার্থণা-;নিরবে, নিভৃতে
ধ্যান-;একনিষ্ঠতায়,একাগ্রতায়,নিবিষ্ট চিত্তে।
প্রেমে স্মরণে ধ্যান নিমগ্নতার শুরু,
সিজদায় ইবাদতে হয়;নামাজ আদায়।
যতবার স্মরণ, ততবার তাসবিহ জপন,
নিদ্দৃষ্ট দিকের সাথে আরাধনা সিদ্ধির
কোন যোগাযোগ নেই।