বিয়ের আগে:
------------------
ভালোবাসে তাই
তার আঙিনা মাড়াতে নাই
- নিষেধ!


ভালোবাসো বলেই
দরজা জানালা বন্ধ রাখা চাই!
- সংযম।


যে কেউ মুগ্ধ হতে পারে,
ভালোবেসে ফেলতে পারে,অতএব
বারান্দা কিম্বা ছাদে যাওয়া যাবে না!
- রক্ষনশীলতা।


কা'কে পছন্দ করবে,
কি দেখে পছন্দ করবে
তা জানবে শুধুই মুরুব্বিরা
-"নিজের আবার পছন্দ অপছন্দ কি?
   তুমি কি বিবাহ বিশেষজ্ঞ না কি?"
- সামাজিক নিয়ম।


পাত্রপক্ষের পছন্দ হলেই বিয়ে হয়ে যাবে!
কনের আবার মত লাগে না কি?
পছন্দ না হলেও কনেকে কবুল বলতে হবে -
"বলো কবুল?"
- পারিবারিক চাপ।


মন থাকলে প্রেম আসবে
কাওকে না কাওকে মন ভালোবাসবে
তাই বলে কী যাকে তাকে বর করা যাবে?
পছন্দ এক, আর বিয়ে আরেক!
- শাসন।


বিয়ের পরে:
----------------
বাসর ঘরে স্বামী স্মৃতিকাতর,
অত:পর কামনায় তুলতে চাইছে ঝড়?
চোখ মুখ বুজে সয়ে যাও!
তোমাকে যে চাইছে,এ-ই তো বেশি!
যদিও তুমি কুমারী,তবুও সব অন্যায় মেনে নাও!
কারণ তুমি নারী।    
ভালোবাসা প্রেম বুঝবার অত দরকার কি?
নারী হয়ে জন্মালে;এত কিছু বুঝতে হয় না-কী?
- প্রেমহীন।


অন্যত্র কোথাও স্বামীর প্রেম ছিলো,
স্ত্রী তার পছন্দে নির্বাচন নয়।
বিয়ে করার কারণ,পারিবারিক প্রয়োজন।
স্ত্রীকে তার প্রাপ্য ভালোবাসা দিতে অপারগ জানিয়ে
স্বামী তার নববধুর মুখের উপর কথাগুলো বলে দিলো।
- হেয়।


বিবাহ করে স্ত্রী বানানোর আগে লিখা এত প্রেমপত্র!
বিয়ের পূর্বেই উপহার দেয়া বেনারসি তবে কি?
কনের বাবার কাছে অশ্রুনেত্রে বিবাহের জন্য প্রার্থী;
এ তবে কে? প্রেমিক নয়? স্বামীও নয়?!!!
- প্রশ্ন।  


"তোমার চেয়েও রূপবতী আরো অনেকে
আমার বউ হতে চেয়েছে।"
- অবজ্ঞা।


"তুমি কী দেখতে ওর মত সুন্দরী,
যে আমি তোমার দিকে তাকাবো!?"
- অপমান।


কাজের দোহাই,অন্য নারীতে আশনাই।
কথায় কথায় খোটা,অবদানে অস্বিকৃতি,
অসন্তোষ প্রকাশ।
- অবহেলা।


প্রাপ্তি যা ঘটে তা পুরুষের দেয়া করুণা।
দিতে মন চাইলো,তো দিলো।
মন চাইলো অন্য কাওকে দিতে,
তো ফেলে রাখলো বউকে,নানান অজুহাতে।
- স্বেচ্ছাচারীতা।


সন্তান প্রতিপালনের শ্রম;
একা মায়ের দ্বায়িত্ব,
বাবা দিবে কেবল অর্থ।
- দ্বায়িত্বহীনতা।


অতীতে কেউ হয় তো
খুউব গভীরভাবে ভালোবাসতো!
- বিশ্বাস।


একদিন হঠাত কেউ এসে
সরাসরি চোখে চোখ রেখে বলে যাবে,
" ভালোবাসতাম, ভালোবাসি,
   ভালো বেসে যাবো!"
- স্বপ্ন।


যে প্রেমিক, সে-ই স্বামী!
-অলীক।