ফুটপাথ ধরে হাঁটছিলাম আনমনে,
বাস স্টপে সে ছিল জানিনা কি কারণে!
চেঁচিয়ে ডাকলো, সুমন্ত! এই সুমন্ত!
সচকিতে দেখি হাত নেড়ে ডাকছে হেমন্ত।
কি রে, এখন এখানে? কি ব্যাপার?
প্রশ্নটা করলাম তাকে টেনে নাকে ভেপার।
এমনিই চলে এলাম আজ এদিকে,
তা, তুই যাবি তো কালীঘাটের দিকে?
মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলে উত্সুকে তাকাই তার পানে,
বলল সেও যাবে ঐ খানে!
কথায় কথায় পথ চলতে থাকি,
আর আড় চোখেতে মাঝে মাঝে তাকে দেখি।
কেমন যেন উদ্ভ্রান্ত লাগছে তাকে,
কিছু তো একটা বলতে চায় সে থেকে থেকে!
বেশ কিছুটা চলার পরে বললাম,
মনে হয় কিছু বলবি তুই আমাকে,
আজ কেমন যেন লাগছে তোকে দেখে!
ঘুরে দাঁড়ালো সে আমার দিকে ফিরে,
আমার দুহাত চেপে বলল ধীরে ধীরে,
আমার বাড়ি ফেরা আর হয়ে উঠলো না রে ভাই,
পারলে জানিয়ে দিস মাকে এই কথাটাই!
কেন? কি হয়েছে? বলবি তো রে বাবা!
এসব আবার কি আবোল তাবোল ভাবা?
সে ইশারায় আমায় তর্জনী তুলে দেখালো,
যেখানে কিছু জটলা হয়েছিল,
আমার মুখে তবুও তখনও বিস্ময়!
বুকটা ধড়াস করে উঠলো হঠাৎ ভয়ে!
পাশ ফিরে দেখি হেমন্ত নেই তো সেখানে!
গেলাম ছুটে ছিল জটলা যেখানে,
বিস্ময়ে হতবাকে হয়ে গেলাম আমি স্থির!
লাল রক্তে ভেজা হেমন্ত সেখানে তখন স্থবির!