দেখেছিলাম তোমায় ঐ কামরাঙ্গা রং শাড়িতে,
দাঁড়িয়েছিলে ব্যালকনিতে তুমি তোমার বাড়িতে,
কপালে লাল টিপটাও ছিল,
কেশরাশি ফুরফুরে হাওয়ায় দুলছিল,
টুং টাং বাজলো গিটার মনেতে,
দেখে তোমার মুচকি হাসি ঠোঁটের কোণেতে।


কিশোর দার সেই গানটা মনে এলো,
যখন তোমার চোখেতে চোখ পড়লো,
পলকের একটু দেখায় মনতো সয় না,
আর একটু বেশি হলে, ক্ষতি তো হয় না !
তুমি ব্যালকনি ছেড়ে গেলে অন্দর মহলে,
ইশারাতে আমায় কাল আসতে বলে।


সকাল হতেই দাঁড়িয়ে ছিলাম তোমার বাড়ির সামনে,
আসবে কখন আবার তুমি ব্যালকনিতে কে জানে !
সকাল কেটে দুপুর গেল চলে,
খিদেয় পেট চুঁয়ে চুঁয়ে জ্বলে,
ধীরে ধীরে সুয্যিমামা গেল অস্তাচলে,
তুমি কি তবে গেলেই আমায় ভুলে !


ধীরে ধীরে সন্ধ্যে নামল যখন হাটে,
দেখি তুমি আসছো উল্টো পথে হেঁটে,
মনেতে যত রাগ অভিমান ছিল,
তুমি কাছে আসতেই তা নিভে গেল,
মিষ্টি মুখে হেসে চাইলে তুমি জানতে, " আরে, কতক্ষণ?"
সত্যটা ঢেকে হেসে বললাম, "এই তো, কিছুক্ষণ"।


সেই দিনটার কথা আজ মনে পড়লে হাসি পায়,
প্রেমের ভুতে সেদিন পেয়েছিল আমায়,
তুমি বলেছিলে," চলুন না, গিয়ে বসি স্ন্যাকস কেবিনে,
সেখানেই না হয় হবে আলাপ, দুই ভাই বোনে !"
সেই কথাতে খুব জোরে বিষম খেয়েছিলাম,
জানি না আজও ঠিক কি করে নিজেকে সামলেছিলাম।


বহুকাল পরে আজ হঠাৎ তোমায় দেখে থমকে গেল আমার গাড়ি,
তোমার কপালে লাল টিপ আর পরনে সেই কামরাঙ্গা রং শাড়ি,
কোলেতে বছর দুয়েকের ছোট্ট শিশুটিকে নিয়ে,
আইনক্স পেরিয়ে তুমি হাঁটছো ফুটপাথ দিয়ে,
আমায় দেখে চেঁচিয়ে বললে, " কেমন আছেন দাদা?
এখন কি একটু চালাক হয়েছেন, নাকি তেমনি বোকা হাঁদা?"
************************************