কতদিন অরণ্যের পথ ধরে নামিনি স্রোতেশ্বরীর জলে
ভাটফুলের ঘনিষ্ট ঘ্রাণে জেগে উঠিনি দক্ষতার সন্তরণে;
কতদিন উষ্ণতার তটে মগ্নতার ছবি আঁকিনি হৃদয়ের আঙ্গুলে
ঢেউজাগা জলের উচ্ছ্বাসে ভেজেনি তৃষ্ণার তুলি শিহরণে।
কতদিন জ্যোত্স্নার জলে হাসেনি পুলক-বিন্যাসের ফুল
সোম্য পাপড়ির ভেজা ভাঁজে খুঁজিনি কবিতার মাদকতা;
কতদিন নদীর ঢেউ দেখিনি, কতদিন হইনি ভাট-গন্ধে আকুল
মুখস্ত পথও আজ কতদিন অচেনা, - এ কোন বিপন্নতা!


ওপারের অরণ্য থেকে আজ ভেসে আসে মহুয়ার ঘ্রাণ;
মহুয়াবনের গভীরে বাজে কি খুব চেনা ভাটফুলের গান!