চারু! এই চারু! এদিক এসোনা!
কি হয়েছে? এভাবে ডাকছো কেনো?
তোমায় না বলেছি চারু ডাকবেনা,
আমার নাম চারু নয়; চারুলতা।
সামান্য নাম বলতেও অলসতা?


এভাবে কেনো চারু! চারু! ডাকো?
নাম'টা পুরোপুরি বলতে শেখো।
নাম ছোট করে ডাকলে
নিজেকে ছোট্ট ছোট্ট লাগে
ধুর! কিযে বলো না চারু
ভালবাসার মানুষ'কে ছোট করলে
নিজেই ছোট হয় আগে।


চারু নামটা কি অসুন্দর?
উঁহু! চারু অসুন্দর নাহ!
তবে চারুলতা-ই বেশি সুন্দর।
আমার যে চারুকেই ভীষণ ভালো লাগে
ক্যান! চারুলতা কে ভালো লাগেনা?
হা..হা..হা তুমি ই চারু, তুমি ই চারুলতা!
তুমি ই প্রেম তুমি ই ভালো লাগা।


আচ্ছা এখন বলো ডেকে ছিলে কেনো?
ডেকেছি কেনো মন দিয়ে শুনো!
চলো ছাদে যাই বাহিরে ভীষণ রোদ!
রোদ্দুর তীক্ষ্ণ চাহনিতে
অপূর্ব লাগবে তোমার ঠোঁট।


না আমি ছাদে যাবো না
চুলোয় রান্না চড়িয়েছি
দিনকে দিন তুমি উন্মাদ হয়ে যাচ্ছো
আমি কিন্তু খেয়াল করেছি।
মনে হয় তোমার ঠিকঠাক
ঘুম হয়নি রাতে,
তাইতো কীসব ভুলভাল বলছো
এমন ঠাডা পড়ার রোদে
আমাকে নিয়ে তুমি যাবে ছাদে।


আচ্ছা মেনে নিলাম মাথা পেতে
তোমার দেয়া পাগলের খেতাব
আমি উন্মাদ নই, ভুলভাল বলছিনা
আমি বলছি মনের কিতাব, হৃদয়ের খোরাক।


হ্যাঁ আমি মনের শতবর্ষ না ঘুমানোর কারন
গায়ে রোদ মেখে করবো বারণ
ভীষণ ভালো সময় স্পষ্ট হাতে
কষ্ট গুলি ভ্রষ্ট করে পাগলামি করবো সারাজীবন।