তোমার ঐশ্বর্যের নেশায় আমি বুঁদ!
ঠান্ডা হয়ে আসে আমার আস্ত কলিজা,
অস্তিমজ্জায় জমে রক্তের বরফকুচি
তোমায় ফিল করি শিরা-উপশিরায়।


ছু্ঁয়ে দেই ধীরে ধীরে ধ্যান মগ্নে
গিলে ফেলি তোমায় আফিমের সাথে;
ওয়াইনের মতো একটু একটু করে।
আমি মরে যাই, টুকরো টুকরো হয়ে যাই,
তোমার নেশাতে; মিশে যাই তোমার যৌবনে
প্রাণ ফিরে পাই প্রতিটা বাহুতে।


কতটা ভালবাসি যদি জানতে চাও?
এক পলকে তোমায় পঞ্চাশ হাজার বার দেখি,
উঁহ তার চেয়েও বেশি দেখি;
দেখি তোমায় কল্পনায়, জল্পনায়,  
নিরেট নিরেট বাস্তবে।


চোখের ভিতরে তুমি ছাড়া কেউ নেই
সাগরে যেমন ঢেউয়ের নাচন,
প্রাণবন্ত সেই হাসির চেয়েও আমি আত্মহারা,
তোমার হাসিখুশি সাহচর্যে আমি একদমই  
নেতিয়ে যাই, খুচরো হয়ে যাই,
ভেঙেচুরে তচনচ হয়ে যাই।


আমার টুকরো হৃদয় জোড়া লাগে তোমার  ঠোটে,
কপালে, চিবুকে, গালে, শরীরের শত শত, ভাজে;
আমি প্রান ফিরে পাই,  অকৃত্রিম ভাবে,
মুখিয়ে থাকি শেষে আরো বেশি কিছু পেতে।


খুঁজে পাই তোমায় মধ্যরাতে
গোপন, প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে ;
আলোতে, অন্ধকারে, রাতে এবং দিনে।


খুঁজে পাই, শত শত পুরুষের ভীরে
ভালবাসার শতশত পরিক্ষা দিয়ে;
তুমি পাশেই থেকো ক্রেক, বুকেই থেকো,
বৃদ্ধ বয়সে, যৌবনে, সুখে থাকার বিশ্বাসে।