গোপালপুরের দূর্গাপুর নামে একটি গ্রাম
মিলেমিশে বাস করে হিন্দু মুসলমান।
বাংলাদেশে সাড়া জাগানো কুমার নদ নামে
পল্লী কবি জসিমের গল্পে সবাই যে তা জানে।
নদ বয়ে গেছে গ্রামের বুকের মাঝখান দিয়ে
দুই ধারে তার ফসলের মাঠ দেখলে যায় মন ভরে!
বর্ষাকালে নদের কুলের মাঠ ভরে যায় জলে
সখ করে গ্রামবাসী জলেতে জাল ফেলে।
জল ভরে যায় আশেপাশের ছোট খাল-বিল
পুটী, টাকি আরো অনেক মাছ করে কিলবিল।
ঝাঁক বেধে গ্রামবাসী যায় হাতিয়ে ধরতে মাছ
জলে ডুব দিয়ে ধরে সুখে বাড়ির পালা হাঁস।
বিকাল বেলায় যুবকেরা খেলতে যায় নদের পারে
পশ্চিম আকাশ রাঙ্গিয়ে বেলা যায় রে তখন চলে।
নদের পারে ঝিরিঝিরি বাতাসে কাশফুলে দোলে
দূর্গাপুর গ্রাম ছাড়া কি আর এমন দৃশ্য মিলে?
পাখির দলে ঝাঁক বেধে ছুটে আপন মনে
গাছ গাছালির মাথায় বসে মাতায় তাদের গানে।
গ্রামেতে আছে রে ভাই আউল বাউলের শান
মুরুব্বীরা শুনে যে তা জুড়ায় মন প্রাণ।
চায়ের দোকানে সন্ধ্যা হলে আসে গ্রামের লোকে
সারাদিন তারা থাকে রোদে পুরে ফসলের চকে।
দূর্গাপুরের মানুষগুলো থাকে মিলেমিশে
সবাই সবার সাথে চলে আপন ভাইয়ের বেসে।
এই গ্রামে আসার জন্য করলাম নিমন্ত্রণ
কাজের ফাঁকে এসে বন্ধু থাকবেন কিছুক্ষণ।