আর্বজনার স্তুপ থেকে পাওয়া শিশুটির শরীরে ছিল দানবের দানবীয় উল্লাসের চিহ্ন, ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে থাকা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি রাষ্ট্রকে ব্যাঙ্গ করছিল। সমাজকে করছিল বিদ্রুপ।
কিছুই থেমে ছিল না,ধর্ম ও বিভেদের রাজনীতি দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছিল,ল্যাং মারামারি সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছিল,শুধু থেমে গিয়েছিল একটি তাজা প্রাণ - টুইঙ্কল শর্মা।
নিষ্ঠুর ঘুণধরা সমাজ তাকে বাঁচতে দেয়নি, দেয়নি  সুজলা সুফলা শষ্য শ্যামলা এই পৃথিবীর রূপ ও রস উপভোগ করতে।
সে নিজেই যে ভোগের স্বীকার!
মোমবাতি হাতে মিছিল করা শিশু সংগঠনগুলির দিকে ঘৃণাভরে তাকিয়ে থাকা আসিফা ভালোবাসা দিয়ে বুকে টেনে নিয়েছিল ছোট্ট বোন টুইঙ্কলকে।
নিখাদ এই ভালোবাসায় কোন ধর্মের বেড়া ছিল না, ছিল না স্বার্থপরতার গণ্ডি।
গভীর মমতায় বোনের দু'চোখের জল মুছিয়ে দিতে দিতে আসিফা বলেছিল, নরপশু বিচরিত ঐ পৃথিবীতে আজ মূল্যবোধের বড়ই অভাব রে বোন, আমাদের রাখার যোগ্যতা ওদের নেই। আয়,আমরা আমাদের মতো নতুন পৃথিবী গড়ি,যেখানে কয়েক অর্বুদ আসিফা আর টুইঙ্কল ফুল হয়ে থাকবো-কেউ ছিঁড়বে না,কেউ দলবে না,কেউ পিষবে না!
লালসা মুক্ত সুন্দর মনের মানুষেরা অবাক বিস্ময়ে শোভা উপভোগ করবে,
চল, নতুন পৃথিবী গড়ি।
চল, নতুন পৃথিবী গড়ি।