নানান স্বাদের অপরূপ গন্ধে,
খিদেটা চাগাড় দিল ঠিক ভর সন্ধ্যে!
পকেটে ছিল না তার পর্যাপ্ত টাকা,
কোন মতে খেলে পকেট হবে ফাঁকা।


ক্ষুধার তাড়নায় শেষে হার মানলো,
কোনমতে দরজা ঠেলে হোটেলেতে ঢুকলো।
সারাদিন অনেক ঘুরে জেনেছে যেটা দরকারী,
বাপের পয়সা থাকলে চাকরি হবে সরকারি।
দাম নেই আজ কোন যোগ্যতা বা ডিগ্রীর,
টাকা থাকলেই ডেকে হবে যেন  চাকরিটা শিগগির।  


দেখে হাসেন কাগজে বন্দী চশমা চোখে গান্ধী,
কাটমানি আজ মহান হয়েছে, নীতি বাক্সে বন্দী!


ক্লান্ত শরীর বিষণ্ণ মনে ফিরছে ছেলেটি বাড়িতে,
অবসর বাবা পীড়িত মা দায়িত্ব বড়ো কাঁধেতে।
বাবা তাকান ছেলের দিকে জিজ্ঞাসু সে দৃষ্টি,
ছেলের চোখে না পান  দেখতে নতুন কোন সৃষ্টি।
মা শুধোলেন, হয়নিতো খাওয়া?
মুখ  বলছে খেয়েছ হাওয়া!
আগে খাওয়া পরে কথা -
বলবে সব শুনবো আমরা দিনের খবরের সারবত্তা।


দু'চোখে শ্রাবণের ধারা
ঝুলিতে ডিগ্রী সারা,
বড্ড লাগে যে আজ ভারী
চাকরির বাজারে ডিগ্রীর মহামারী!

সন্তানের সাধ্য কি মা কে দেয় ফাঁকি,
মায়ের চোখ বুঝে নিল সব
কিছুই রইলো না বাকি।
মাথায় বোলান হাত সান্ত্বনা দিতে,
ছেলের ব্যর্থতার ভাগীদার হতে।


বাজারে হচ্ছে চাকরি বিক্রি
দেদার সে দামী,
কিনছে তারাই কেবল
সমাজের বুকে নামী!
এমনি কত প্রতিভার
মৃত্যু ঘটছে প্রতিদিন,
এই অন্যায়ের বিধান যেন
হবেই একদিন...