সুভাষকে চেনেন?
কে সুভাষ?
সালকিয়ার সুভাষ? গত হপ্তাতেই তো দেখা হলো l ক্যানো বলুন তো...
না না...
তাহলে?
বলছি সুভাষকে চেনেন?
কৌতুহলী প্রশ্নটি এর ওর কাছে ঠোক্কর খেয়ে,সুভাষ গ্রামের অলি গলি শুধিয়ে,দশকের চুলে বিলি কেটে যখন বড় রাস্তায় এসে পড়ল তখন তা গোধুলির সাতরঙ্গা রামধনু হয়ে গেছে...মাঝে মধ্যে উদয় হয় l


বলছি সুভাষকে চেনেন?
কৌন সুভাষ ? বোস? তো বোলিয়ে না জি...
চেনেন?
ডান বাম উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম তখন এক নিঃশ্বাসে ঝড়ের গতিতে বলে চলেছে-সুভাষবাবু...মস্ত বড় দেশপ্রেমিক...আজাদ হিন্দ...তেইশে জানুয়ারী... থাকলে চিত্রটা অন্যরকম হতো ইত্যাদি ইত্যাদি l
এই রহস্যময় ময়দানব অতিগুজবীয় কল্পকাহিনীর ইন্দ্রজাল যখন ক্রমশ বিস্তার করে চলেছে তখন শ্যামবাজারের পাঁচমাথায় ঘোড়সওয়ার মূর্তিটি সূদীর্ঘ মৌনতা বজায় রেখে,চুয়াত্তরটি শীত,গ্রীষ্ম,বসন্ত পাড় করে,রেনকোজির ছাই হয়ে,সাইবেরিয়ার নিথর বরফ চোখে ফৈজাবাদের সাধুর মতো বার বার মরেও কাদম্বরীর মতো প্রমান করে চলেছেন অমরত্ব l
প্রেতচ্ছায়ার মতোন সেক্রেটারিয়েটের ঝুলমাখা ফাইলবন্দী হৃদস্পন্দন পাঁজরের ফাঁক গলে হঠাৎ হঠাৎ জানান দিচ্ছে মুর্দালাশের ওপর খবরদারি হয়না l তিনি আছেন...তিনি আছেন
তিনি বেঁচে আছেন l


ধুর মশাই! এও সম্ভব?
আলো আঁধারি সুরঙ্গপথে বাতানুকুল কামড়ায় সুভাষ গবেষক স্মিতহাস্যে চেয়ে আছেন প্রশ্নকর্তার প্রতি l
সম্ভব?
সম্ভব l
কিন্তু কীভাবে? কোথায়?
বুকের বাঁ-দিকে একটা আলতো টোকা l
এইখানে...এইভাবে...যুগ যুগ l
বাকিটা অস্বস্তির,তাই না হয় অপ্রকাশিতব্যই থাক
চলুন নেতাজী আসছে...এগোই l
অন্যমনস্ক মৌনতা ভেঙ্গে দিল সশব্দ ঘোষনা
"টিং টং,আগামী ষ্টেশন নেতাজী ভবন,প্লাটফর্ম...l"