প্রতি দিন এ পথে আনাগোনা
ব্যস্ত পায়ে,
আজও হাঁটছি,তবে খানিকটা শ্লথগতিতে,
রবিবাসরীয় কলকাতার ভাঙা হাটের পথে পথে l
পায়ে পায়ে পথ এসে পৌছলো
শেক্সপিয়ার সরনীর ফুটপাতে l
সহসা অলস স্মৃতির দুয়ারে হাজির উদাসী কলকাতা
ক্রমশঃ হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যের শহর !
যেমন শেক্সপিয়ারের নামের আড়ালে আজ ম্লান
থিয়েটার রোড !
আর থিয়েটার !
শত নক্ষত্রের জন্মদাত্রী আজ অবলুপ্ত ইতিহাস !
অবজ্ঞায় হারায় কালের ভগ্নস্তূপে,
অতি আধুনিকতা ভুলে যায় তার আঁতুড়ঘর !
অস্ফুটে প্রকাশ্যে আসে আরো এক ব্যথাতুর মুখ,
আমার জন্মভূমি,আমার ভারত l
সেদিনের শৃঙ্খলিত নারী,
আজ মুক্ত, সর্বাঙ্গে প্রাদেশিক বেরি !
শত শত বীরের জননী,
দুর্গত বুকে আজও শঙ্কা ঘোচেনি !
বহু রক্তপাতে,আত্মত্যাগে অর্জিত দুষ্প্রাপ্য স্বাধীনতা
সযত্নে রাখা কিছু স্বার্থের সিন্দুকে !
এ স্বার্থের জগত দুর্বিনীত,
গডসে তো গান্ধীকে একবার হত্যা করেছিল,
এ আধুনিকতা তাঁকে গ্রাস করে
বারে বারে গান্ধী নোটের ভ্রষ্টাচারে !


এদেশের মাঝে দীর্ঘশ্বাস ফেলে আরও একটা দেশ,
সে দেশ আজো আঁধারেই থাকে পড়ে
সে দেশ আজো আত্মাহুতি দেয় নীরবে
ধর্মের নামে,বিকাশের নামে
প্রতি হেমন্তে,প্রতি বসন্তে !
উজ্জ্বল অগ্রগতির দেশে তারা পেছনের সারিতে
অতি তুচ্ছ ! অতি নগণ্য !
তাদের আঁধার ঘর চিরকাল শূন্য !


স্মৃতির হাত ছাড়িয়ে আবার
শেক্সপিয়ার সরণীর পথে পা বাড়াই,
পেছনে থিয়েটার রোড অবলুপ্ত ইতিহাস ll