এনহে শুধু আমার কথা, পুরো পৃথিবী জানে
মানুষ হইয়া জন্মিলে তব মরণ যাত্রা হবে
কি তুমি করিছ জগদিশে ভাই কে তুমি ভাঙ্গিছ নীড়ে
কে তুমি সামনে আনিয়া দিয়াছ ভালবাসা তার তীরে
তুমি তো জানোই তোমার শরীরে যতটুকু আমি থাকি
যতদিন আমি করেছি তোমার পিছুপানে ডাকাডাকি
হেরেছি অবলে জন্ম লভিয়া এহেন নীলিমা দেশে
এইটুকু মোর শেষ পাওয়া হোক ভিখিরির তব বেশে
কোথা হতে আসে পরশ ছাওয়া নিবিড় নিশীথ রাত
কোথা হতে আসে পূর্ণিমা তব বাঁকা তন্দ্রের চাঁদ
কতদূর তুমি গিয়াছ চলে আর কতদূর যাবে
সমাধি আমার উৎকন্ঠিত তোমার গহীন বিরাগে
পদতলে তব শোভন সকাল এনে দাও তুমি ডাক
পুষ্পের তরে আমি যেনো সেই কতকাল হতবাক
হয়েছি পাষাণ মাটির তলে ঘুমিয়েছি আমি বেশে
মানুষ হইয়া জন্ম লভিয়া এহেন তব দেশে
পাওয়ার যতটা ছিল মোর সাঁঝ বিকেল বেলার তরে
গৌরব তব মূর্ছনা যায় ফিরিয়া গিয়াছে দ্বারে
কতোকাল আর সইবো বেদন নারির কণ্ঠ রাতে
আমার মনে সন্ধেবেলা উড়বার সাধ জাগে
উড়ে যাব ওই নীলিমার দেশে যেথায় আকাশ খেলে
মাটির তলে যেথায় স্নিগ্ধ সকাল শোভন মেলে
বহিয়া যেথায় পড়ে গো চাঁদের জমকালো আয়োজন
সেথায় আমার জন্ম, মরণ, সেই দেশ প্রয়োজন
কে জানে কোথায় তুমি আসিয়াছ আমার মৃত্যুকূলে
পথ বয়ে যায় সুদূর থেকে দুর পানে শুধু চেয়ে
কবে থেকে আমি বিরহে রহিব বিলীন তব সত্তা
ঘুমায়ে গিয়াছে যত ব্যাথা মোর প্রাণপ্রিয় শেষ সজ্জা।।