হ্যাঁলো,
হ্যাঁ বলো।
কি করো?
ভাবছি।
কি ভাবছো?
তোমার কথা।
তা আমার কথা কি ভাবছো শুনি?
ভাবছি অনেক কিছু।
আচ্ছা তুমি কি মানুষ! 
কি মনে হয়?
পরি।
হা- হা-হা
হাসছো যে!
পরি বললে তাই।
ও...
দেখতে ইচ্ছে করছে,
দেখা যাবে না।
ইচ্ছে টা বেঁধে রাখতে পারছিনা যে।
আমি কি করবো?
বেলকনিতে এসে দাঁড়াও।
নীল শাড়ী পরবে কিন্তু,
নীল শাড়ীতে তোমায় দারুণ দেখায় জানো,
আর শোনো,
একটা ছোট্ট টিপ পরবে কিন্তু হলুদ রঙের।
হলুদ কেন? 
নীল- হলুদে গুলিয়ে ফেলবো বলে।
তাতে কি হবে?
একই তোমাকে বারবার দেখতে ইচ্ছে হবে।
রোজ রোজ এত দেখার কি আছে?
একগুচ্ছ বেল ফুল।
বেল ফুল!
গোলাপ নয় কেন?
গোলাপ যে সুন্দর অস্বীকার করছি না,
তবে বেলফুলে মিস্টি সুভাস আছে।
শুধু পাগলামি,
হুম, পুরোপুরি।
কিন্তু আমি পারবো না।
বাবা আছেন।
একটু ম্যানেজ করো।
প্লিজ....
বড্ড পাগল তুমি,
দাঁড়াও চেষ্টা করছি,
তবে শাড়ি পরতে পারবো না।
বাবা আছেন,
বোঝোনা কেন?
তবে টিপ পরতে সমস্যা কি?
ওকে পরবো।
থ্যাংকস,
তা কখন আসবে?
এখনই।
এখনই?
হ্যাঁ।
ওকে ৫ মিনিট পরে আসো,
ওকে।
তবে দাঁড়াবে না কিন্তু।
এইযে বললে দাঁড়াতে!
না....
যেতে যেতে দেখবে।
যদি এক্সিডেন্ট করি!
ধুত ওসব বলবে না,
ধীরে ধীরে যাবে,
আর একবারই তাকাবে।
ওকে,
জানো খুব ইচ্ছে হয়,
কি?
এক্সিডেন্ট করতে।


তোমার বাড়ির সামনে,
তোমাকে দেখতে গিয়ে
ধাক্কা খাবো তোমার সামনের বাড়ির দেওয়ালে,
তুমি ছুটে আসবে,
খুব বেশি ক্ষতি হবে না আমার,
তবে একটু ভান করবো।
আমায় অনেক আবেগ নিয়ে জড়িয়ে ধরবে,
এক মুহুর্তের জন্য ভূলে যাবে,
তোমার বাবা-মা-স্বজন আর প্রতিবেশী।
আমার চুলে আঙুল বুলিয়ে দেবে,
গালে দেবে আলতো নরম হাতের ছোয়া।
অজ্ঞানের ভান করে পড়ে থাকবো,
সবার অগোচরে কপালে দেবে,
একটা মিস্টি চুমু।
তোমার অলক্ষ্যে চোখ দিয়ে দুফোঁটা
গড়িয়ে পড়বে জল আমার ঠিক ঠোঁটের উপর।
নোনতা স্বাদে বুঝবো,
তোমার উদাসীনতা।
খুব মন খারাপ হবে আমার,
আস্তে করে উঠে বলবো,
সরি।
কিছুই হয়নি আমার।
কাঁদছো কেন পাগলি?
কিচ্ছু হয়নি।
তোমার চোঁখের জল হবে বানভাসি,
বলবে চুপ করে থাকো।
কোনো কথা বলবে না।


থামবে তুমি?
নাকি ফোন রেখে দেব! 
বেলকনিতে কিন্তু আসবো না।
আর তোমার আসতেও হবে না।
ওকে সরি,
আর বলবোনা।
না করোনা প্লিজ।
ওকে আসো,
কিন্তু সাবধানে।
বাইক আস্তে চালাবে কিন্তু।