একদিন বসন্ত শেষে,
বাসি ফুলের সুভাসে।
কৃষ্ণচূড়া বিছানো পথে,
কিম্বা আমলকির বনে।।
শরতের প্রারম্ভে,
কাশ ভেজা শিশিরে।
বঁধুর হাত ধরে,
হেটে যাবো সুদুরে।।


হেটে যাবো মলিন পায়ে,
দূর্বা ঘাসের কোমলতা মেখে।
জীবানন্দের রুপসী বাংলায়,
কিম্বা জসীমের নকশি কথার মাঠে।
শরত বাবুর পল্লি গ্রামে,
কিম্বা রবি ঠাকুরের রাঙা মাটির দেশে।


একদিন,
বসন্ত শেষে ফুল কুড়াবো আমি,
তুমি গাথবে বিনিসুতার মালা।
হাড়িয়া খেয়ে বুদ হয়ে রইবো ,
তুমি গাইবে মাদকতা মেশানো গান।
সাওতাল রমনির মতো লাল পাড়ের শাড়ি পরবে, 
লাল পাড় সাদা শাড়ি,
কিম্বা হলুদ।
পায়েতে নুপুর,
কিম্বা ঘুঙুর।
গলায় ভারি মালা,
বনফুলে বাঁধা খোঁপা।
মাদলের ছন্দে নাচা,
কিম্বা সাওতালি গানে কোমোরের দোলা!


একদিন বসন্ত শেষে,
তোমার মিস্টি গাল ছুয়ে,
প্রেমের আতর মেখে দেব।
সোমরসে মাতাল করে দেব।।
উথাল পাথাল বুক ছুয়ে,
আবির মাখিয়ে দেব।
পলাশের লাল আবির,
শাল পাতার সবুজ আবির,
রঙিন স্বপ্নের আবির,
সুপ্ত বাসনার আবির।
ক্লান্তির আবির,
আবেগের আবির।।


একদিন বসন্ত শেষে,
কোনো এক অজানা দেশে,
দুজন মিলে যাবো ভেসে,
নীলরঙা রাত্রি শেষে।।
আধোঘুমের ক্লান্তি মিশিয়ে,
আবেগ গুলি কন্ঠে জড়িয়ে,
একবার বলব,
ভালোবাসি প্রিয়ে।।
ভালোবাসি
ভালোবাসি
ভালোবাসি।।