একদিন তোমার বাড়ি যাব,
কাকভোরে,
সকাল থেকে সন্ধে অব্ধি থাকবো।
তোমাকে দেখতে,
ঠিক দেখতে নয়,
তোমাকে জানতে প্রিয়তমা।।


তোমার মনের গতিপ্রকৃতি,
তোমার রক্ত সঞ্চালন।
তোমার ব্যাস্ততা,
তোমার মাতৃত্ত্বের অহংকার।
তোমার দৈনন্দিন,
তোমার সবকিছু প্রিয়তমা।।


যে জীবন গোছাতে চেয়ে,
পিছু হটেছ,
যে জীবন সাজাবে বলে,
স্বপ্ন দেখিয়েছ।
সেই জীবনের সাথে,
কতটা ব্যাবধান আছে
জানতে চাই প্রিয়তমা।।


তোমার গোছালো ঘর,
তোমার হ্যান্ডসাম বর।
তোমার পবিত্র শিশু,
তোমার অশুদ্ধ মন।
কেমন করে চলছে,
জানতে চাই প্রিয়তমা।।


আমার দেওয়া ছদ্ম নামটা,
তোমার কি মনে আছে?
কখনো কি মন খারাপের মুহূর্তে,
একবারও মনে হয়না,
সেই নামটা ধরে যদি কেউ ডাকতো!
কি অঅদ্ভুত, তাইনা প্রিয়তমা।।


আচ্ছা গভীর রাতে,
তোমাদের ঝগড়া হয়?
তোমার বর কি,
ঝগড়া শেষে পিছন থেকে,
আমার মতোই তোমায় জড়িয়ে ধরে?
না কি আমার শূন্যতা তোমায় কাঁদায়?
খুব জানতে ইচ্ছে করে প্রিয়তমা।।


আচ্ছা, ফেসবুকে দেখলাম,
অনেক মোটা হয়ে গেছ?
খুব সুখী আছো তার মানে!
দেখে বড্ড ভালো লাগলো।
এত্ত সুখ,
ও কি শান্তি লাগছে প্রিয়তমা।।


আচ্ছা, তোমার কি সেই
মনের কোনটা আছে?
যেটা কোনো দিন আমার ছিলো।
নাকি অন্যের অধিকারে চলে গেছে?
নাকি অনেক ধুলো জমেছে,
সেখানে প্রিয়তমা।।


তোমার চোঁখের নীচে,
এখন কি কালি জমে?
নাকি এখন কেউ তোমায়,
রাত জাগতে দেয়না!
নাকি, সোহাগে ভাসো!
আগের মতো,
তবে আরো জমুক কালি প্রিয়তমা।


তোমার এখন ফেসবুক আছে,
হোয়াটসঅ্যাপ ও আছে।
সময় কাটেনা বুঝি?
নাকি ওর জন্য,
কিছুটা দূরত্ব যাতে না হয়!
ও কত মধুর ভালোবাসা প্রিয়তমা।


আমার মত করে,
তোমার চুল দিয়ে করা,
নকশি রুমালে কি,
তোমার ও ঘাম মোছে?
নাকি আমার মত বুক পকেটে রাখে।
আর অনেক ক্লান্তিতে,
তোমার চুলের গন্ধ,
নিশ্বাসে চুমুক দেয় প্রিয়তমা।


আচ্ছা তুমি সেই তেমন করে,
যেমন করে আমায়,
মিস্টি ছদ্মনামে ডাকতে,
ওকে কি ডাকো?
আচ্ছা, তোমার বই এর ফাকে,
ওর ছবি থাকে প্রিয়তমা।


ও ভূল হলো,
প্রিয়তমা বলাটা অন্যায় হচ্ছে বোধহয়।
এখনতো তুমি,
অন্য কারো প্রিয়তমা।
অন্যের বুকের গন্ধে মাতোয়ারা,
অন্যের বুক তোমার আশ্রয়।
অন্যের চোঁখ তোমার আয়না।


কত সহজেই বদলে যায় সব।
আবেগি সময়।
তুমি -আমি -সবাই।।
স্মৃতির অকপটে সবই বদলায়।
শুধু বদলে যায় না,
ফেলে আসা কিছু অতীত।
আর হৃদয় হারা কিছু ব্যার্থ প্রেমিক।