(১)
কথা ছিল; পিদিমটা
যতক্ষণ না নিভছে ততক্ষণ থাকবে,
তাহলে হটাৎ কিসের তাড়া পড়লো?
দেখো আকাশ এখনো নক্ষত্র হীন।


ফাল্গুন ডানা মেলেছে যেখানে
অযথা কেন কেউ পড়ে থাকবে এই বর্ষায়!
যার থাকার কথাছিলো সে’ও বুঝছে
পড়ে থাকা যুক্তিহীন।


কাল সারা রাত্রির জেগেছি
শুধু উল্কা খসার অপেক্ষায়,
যতবার মেঘ জমেছে আকাশে
হাতে করে টেনে সরিয়েছি।


এইখানেই বেশ ভালো আছি
কুয়াশা বেশ মনোরম।
যে দাবানলে পুড়ছে পুড়ুক
পাশেই তো আছে নদী খাত।


আমাকে শান্তি দাও! দাও একটু একাকিত্ব!
আর একটু বিষন্নতা কুড়ে কুড়ে খাক আমায়।
মানব শরীরে লালসাময় বেঁচে থাকা
বরং একঘেয়েমি’ই শ্রেয়।


(2)
শব্দটা ঠিকই শুনেছি।
সে ভেবেছে আমি বুঝবো না।
অথচ তার চোখের লিপি গুলো
কেবল আমিই পড়তে পারি।


না এবারে যেতে হবে,
কিন্তু সেতো ডাকেনি! তাতে কি?
তার ঠিকানা তো চিনি।
আমি চিনি তার মনের কনে জমে থাকা পাথর।


ঝড় উঠবে জানি। দোষতো আমার’ই।
সময় থাকতে পারি দিইনি তরী।
শরৎ এর অপেক্ষায় কাটিয়েছি দিন।
অযথায় জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা।


না কেউ বোঝেনি।
যার বোঝার কথা ছিল, সে’ও করেছে অস্বীকার।
তিক্ত হয়েছে রক্ত.....অসহায়।
এখন আকাশের নীলে ডুব মেরে বেঁচে থাকা।


(৩)
আর অন্ধকারে ডুববোনা
আগুন তো আছে, ভয় কিসের!
যে ঠিকানা তার অচেনা
সেখানে বাঁচবো নতুন বসন্তে।


ঠিকানা হীন চিঠি গুলো বাস্ক বন্দি করে
ভাসিয়ে দিয়েছি মাঝ সুমদ্রতে।
এখানে চৰ্তুর দিকে বিষ,
বিষন্ন মনের বসবাস।


সারা রাত চাঁদ দেখেছি
চাঁদের কলঙ্ক অনেক গভীর,
তবুও নিস্তব্দে জ্যোৎসনার বর্ষা।
আমি খুঁজে পেয়েছি অর্থ বেঁচে থাকার।


এখন শুধু উল্কা খসার অপেক্ষা,
আর কাউকে চাইনা।
সাগরের জল বিষিয়ে উঠলেই পালাবো।
শুধু উল্কা খসার অপেক্ষা।


এসব একলাই বকে যাওয়া,
যে শুনার সে চলে গিয়েছে বহু সময় আগেই।।