অস্পষ্ট সাংকেতিক মেধার নৈকট্য প্রলাপে
বিতাড়িত হয়েছিল গর্ভের ভিনউলাস নির্যাস,
খেচর বর্ণমালা, উড্ডীন সাররাস বারিদে।
আমি দেখছিলাম, অল্প আলোতে চোখ মেলে :
বর্ণাঢ্য সম্ভাবনা নেই, তবুও কিসের গরজে
ক, খ, গ, ঘ, ঙ, আলফা, বিটা, গামা, থিটা;
কে, জিটা, কিউ ও অন্যান্য না-চিনতে পারা
শব্দ, ধ্বনি, অর্থসমষ্টি অপরাগ ভেসে চলেছিল
বর্ণহীন ধূসরের পারাবারে, নিরূপিত সংকল্পে।
আকাশের দিকে হাত বাড়িয়ে চেয়েছিলাম
কিছু ধূলিমলিন, পালকাবৃত না-জানা ছাঁচ,
হাতের তালুতে, কাঁধে, নখের অনৃজু ডগায়
আশ্রয় নিয়েছিল, বুঝে উঠতে পারিনি তৎক্ষণাৎ।
দোয়াতে কলম ডোবানোর দিন অতীত, ডটপেনে
নিজের ডায়েরিতে লিখে রেখেছিলাম তাদের,
মসীর কৃষ্ণ শৃঙ্খলে তাদের দিয়েছিলাম অমরত্ব,
যেখানে তাদের ইন্সুপেরাবিলিস কায়কীয়তা।
খঞ্জ বিশ্লেষণে সেদিন বুঝিনি তাদের উচ্ছলতা,
আজকে ডায়ারির শৃঙ্খল ছিন্ন, প্রসাস স্ফুলিঙ্গে
পুড়ে গেছে কারার বাঁধন, প্যাপিরাসভেজা সভ্যতা।
দ্রুতবেগে ব্যক্ত হয় অস্ট্রেলীয় সমরতি বিবাহবৈধতা,
ইয়েমেন, সোমালিয়া, সুদানের মানবিক সংকটকাল;
ম্যানচেস্টারের সংগীতানুষ্ঠানে ঈশ্বরের করুণাবর্ষণ;
আল-নুড়ি মিনারেটের ঐতিহাসিক পতন, স্থিতিমার্জনায়;
কাটালান সার্বভৌমের ওপর অনৌচিত্যর করাল ছায়া;
শতপাকে বিদগ্ধ বৃক্ষকান্ডের বিরতি, এমেটিক বেণুগাঁথায়।
অজবীথি অগ্নিশিশুর ম্যাগমাতঞ্চনে, প্রপঞ্চক প্রতিলেখে
সম্পাদিত হয় অক্ষাংশ অধিকার, বাধাহীন সুপ্ত বিস্তারে।
নৈঋতকোণে ললাটতিলক পরিহিত কিছু বর্ণমালা
রিপারিয়ান মেখলাবেষ্টনী আলিঙ্গন মুক্ত হয়, শিকড়ে
দিশেহারা উদ্দীপনা, বাস্তুপ্রাচুর্য্যে উন্মিলিত ইন্টিমাচিত্তে
দ্রাঘিমাভ্ৰষ্ট ধমনী; ইথার ফ্ল্যুমেনের মেলোডিক নির্যাসে।