কখন যেন জেগে উঠেছিলাম স্বপ্নময় চোখ মেলে,
প্রাণবন্ত শ্যামলিমায় ঘাসের নরম পুচ্ছের বিচলনে,
কাঁচপোকা হেঁটে বেড়াচ্ছিল শিশির পিঠে করে ।
প্রতিসৃত আলোয় ঝিলিমিলি কেটে যাচ্ছিল
বাতাসে সোনালী ডানার চিলের মহিমান্বিত উড়ান ।
দু'একটি মেঘের খোশগল্পে চাতকের দীর্ঘশ্বাস;
ছড়াচ্ছিল বৃষ্টি হওয়ার অবিশ্বাস খোশখবর !
চুপসানো পাঁচ নম্বরি ফুটবল পড়েছিল অযত্নে;
খেলবার কেউ ছিল না, ধুলোমাটি উড়িয়ে ।
বার বার পলক ফেলেছি, তবুও সেই স্পন্দনশীল চিত্র;
দিগন্তের ইজেলে ক্ষণে ক্ষণে রং বদলেছিলো ।
অশ্বত্থের পাতার শামিয়ানার নিচে ক্ষুদ্র চড়ুইভাতি,
পিপীলিকা-প্রজাপতি-কীচ-ছোটপাখির ক্যাকোফোনিতে ।
হৃদয়ের সকল ব্যাথা-বেদনা বর্জন করেছিলাম নিমেষে,
নবশ্যামের ভরা পাতায়, টুপ্ টুপ্ খেজুরের রসের ধ্বনিতে  
ব্যাকরণহীন প্রকৃতির ভাষার রাজ্যে পেয়েছিলাম প্রবেশদ্বার ।
দৌড়েছিলাম কয়েক ক্রোশ; ফিডিপিডিসের এথেন্সের খোঁজে;
আমিও দিতে পারতাম পারস্য যুদ্ধের বার্তা, কিন্তু রক্তশূন্য শান্তির ।
সীমানায় পৌঁছতে পারিনি; নিদ্রাকামী দেহকে করেছি বঞ্চিত -
যদি জেগে উঠি, পুনরায়, অনীকদরদী নির্জিত প্রাঙ্গণলতার দেশে।