বিচার শিবিরের মশালের শিখায় প্রজ্বলিত,
পুরুর রক্তিমবর্ণ মুখমণ্ডল,শক্ত চোয়াল।
দুই হাতে জড়ানো গ্রিকরাজের শাস্তি বেড়ি;
রাগে দুঃখে জর্জরিত,তার ঘর্মসিক্ত কপাল।


সম্মুখে দণ্ডায়মান মস্ত সিংহাসন,মিনার সমান;
তার উপরে বিরাজিত শ্বেতচর্ম আলেকজান্ডার।
দু'চোখে গ্রিকরাজের,মামুলি জয়ের হরষ-বাণী;
"এই সামান্য কৃষ্ণাঙ্গ রাজা কিইবা করতো আর!"


ধিক্কারের সুরে গ্রিকরাজ এবার প্রশ্নবাণ ছুড়লেন;
"বলো,কেমনতর ব্যবহার প্রার্থনা করো তুমি?"
গ্রিকশব্দের উচ্চারণ জানতো না পুরু কোনদিন;
তাই রাজদৌভাষীর পানে চেয়ে থাকেন তিনি।


তর্জমা শুনে খানিকক্ষণ নীরব রইলেন পুরু;
আবারো তাই গ্রিক উচ্চারণে ধ্বনিত হলো।
"বলো,কেমনতর ব্যবহার প্রার্থনা করো তুমি?"
এইবার পুরু প্রস্তুত,জবাব করলেন উচ্চারিত।


"এক রাজার প্রতি আরেক রাজার ব্যবহার;"
এইটুকুই তার কাম্য,দৃঢ়কন্ঠে জানান দেন তিনি।
মেরুদন্ডে শিহরণ খেলে গেলো গ্রিকরাজের;
এ কেমন সাহসবলের সম্মুখীন হলেন তিনি!


পরাজয়ের গ্লানি নেই এই নরপতির বিন্দুমাত্র;
নিশ্চিত প্রাণদন্ড জেনেও কম্পিত নয় কন্ঠ!
সত্যিই ইনি নরপতি,প্রচন্ড সাহসী নরপতি;
এনাকে শাস্তিদানের যোগ্যতা নয় তার ধর্ম।


ফিরে পেলেন নিজের গোটারাজ্য পুরু;
সাথে গ্রিকরাজের বন্ধুত্বের প্রতিশ্রুতি।
বল নয়,সাহসেরই জয় হলো আরেকবার;
সাহসের কাছেই নতিস্বীকৃত দিগবিজয়ী।।


~শব্দাণ্বেষী