ছেলেটি পছন্দ করতো লিখতে
কিন্তু অংক করতে যেয়ে লিখা হতো না।
ছেলেটি ভেবেছিলো গলা ছেড়ে গাইবে।
কিন্তু গলার উপর পদার্থ বিজ্ঞানের অদৃশ্য চাপে সুর আর বের হয় নি।
রসায়নের বিক্রিয়ায় ঝলসে গেলো স্বপ্ন।
সুত্র ভুল তাই ভর বেগের গতির সাথে পরিবর্তিত হলো গন্তব্য।
ছেলেটি গীটার বাজাতে চাইতো কিন্তু হাতে তুলে দেয়া হয়েছিলো সেট স্কয়ার কম্পাস।
জন্মের দিন তার বাবা বলেছিলো আমার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হবে ঠিক তখন মৃত্যু ঘটেছিলো একজন চমৎকার আর্টিষ্ট এর।
গল্পের শেষ এখানেই না। ছেলেটি হঠাত জানিয়ে দিলো গতবাধা জীবন যাপন তার দ্বারা হবে না।
আই সি ইউ তে থাকা আর্টিষ্ট সত্তা টা কে সারিয়ে তুললো। গলা থেকে চাপ টা সরিয়ে ঝলসে যাওয়া স্বপ্ন গুলো আবার নতুন করে বোনা শুরু করলো।৫ টাকার কলম আর ধুলোমাখা ডায়েরী টা আবার বের করেছে নতুন কিছুর আশায়। কতো উপহাস-ঠাট্টা,কেও বিদ্রুপের স্বরে বলতো পাড়ায় নাকি নতুন রবি ঠাকুর এর প্রত্যাবর্তন করেছে।
কেও কেও বলেছিলো হবে না তোমায় দিয়ে। আর্ট বেচে কি পেট চলবে???
ছেলেটি বলেছিলো না খেয়ে থাকলেও সমস্যা নেই।
গতবাধা জীবন ছেড়ে দিলেও ছেলেটি না খেয়ে নেই। রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে চলে যায় কর্মক্ষেত্রে।
কর্মক্ষেত্রে ছেলেটি আজ পর্যন্ত ক্লান্ত হয় নি। আর কাজের মাঝেই ডায়েরীর ধুলো মুছতে থাকলো।
ছেলেটি ৬ ঘন্টার ক্লাশ ফাকি দিলেও ৯-১০ ঘন্টা ঠিকই কাজ করে তাও খুব খুশী মনে।কারন কর্মক্ষেত্রে যে ছেলেটার সুর নিয়ে থাকতে হয়।
ইচ্ছে পূরনের প্রথম দ্বারে দাঁড়িয়ে ছেলেটা।
একদিন স্বপ্ন গুলোকে সত্যি করতে হবে এই প্রত্যয় নিয়ে ছেলেটি রোজ সকালে ঘুম থেকে ওঠে এখন।এখন শুধু অপেক্ষা সঠিক সময়ের। যারা বলেছিলো হবে না তাকে দিয়ে তাদের কে জবাব দিতে হবে।