ভালোবাসাটা বোধহয় একটু অন্যরকম।
বারান্দায় বসে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে,
আমার অপেক্ষায় থাকতো তোমার মন।
কতবার আমি অবুঝ ভাবনায় পেরিয়ে গেছি,
বুঝিনি তখনও, বোঝেনি আমার মন।
একদিন বৃষ্টির ফোঁটায় আকাশপানে তাকাতে,
তোমার আমার প্রথম দেখা।
মুচকি হাসি দিয়ে আচমকা চলে যাওয়া।
মেঘ বিদ্যুতের আলোরণে বইলো শীতল হাওয়া।
এক অদ্ভুত শক্তি জেগেছিলো,
ভেঙেছিল বিষন্নতার বেড়াজাল।
তাইতো তোমায় দেখতে রোজ,
ছুটতাম সকাল-বিকাল।
দিনের একটা সময় তুমি আসতে,
আমায় দেখে আবার চলে যেতে,
হয়নি কথা আমাদের, হয়নি আমাদের আলাপ।
তবুও প্রতিদিনই ভাবতো আমার মন,
দেখা হবে তাই সঙ্গে নিতাম গোলাপ।
তোমায় নিয়ে তৈরী হলো ভালোবাসা।
কিছু চিঠিও লিখেছিলাম তোমায় দেবো বলে।
এভাবেই তোমায় দেখে কেটেছিল প্রায় একবছর।
তারপর হটাৎ যেন সব কিছু বদলে গেল।
আর বারান্দায় তুমি আসতে না,
খোঁজ নিলাম বাড়িটা বিক্রি হয়ে গেছে,
তোমার নতুন ঠিকানাটাও পেলাম না।
মুহূর্তের মধ্যে সব কিছু শেষ মনে হলো,
তবুও অপেক্ষার প্রহর গুনতাম।
চোখ বুজলেই তোমায় দেখতে পেতাম।
বহুবার ছুঁটে যেতে চেয়েছি তোমার কাছে,
তোমায় না দেখার কষ্ট অনুভব করেছি,
ভালোবাসার মুহূর্ত গেঁথে রেখেছি মনের খাতায়।
প্রতিটা গোলাপ আজও রেখে দিয়েছি ডায়রীর পাতায়।