উত্তরাধিকার


আমার মুখাগ্নি হবে যার হাতে
সে পথে পথে ঘুরে
আমার ঠিকানা খুঁজেছিল।
ফিরে যেতে যেতে ঘুরে তাকিয়ে
আমার দুচোখে চোখ রেখে
সে হয়তো বলেছিল
‘আর জন্মে আবার দেখা হবে কিনা জানিনা।
তোমাকে কী বলে ডাকব তাও জানিনা।
তবুও তোমার সাথে নাড়ীর টান
বার বার ছিঁড়ে গেছে
রক্তের বিপরীত স্রোত বেয়ে
দেখা তো হলোনা এজনমে আর,
তাই ফিরে চলে যাবো এই রক্তেরি স্রোতের উজানে।
শুধু তোমার নিথর শবদেহ পোড়ার আগে
একবার, শেষবার শিয়রে দাঁড়াবো এসে ,
অনিবার্য্ উত্তরাধিকারের দায়ে।
এই বলে চলে গেল সে।
তাই মৃত্যুর অপেক্ষায়
এখনও আশায় বেঁচে আছি ------
কবে তার হাতের শলাকায় আগুন বিঁধিয়ে সে
পালন করবে তার চরম ভূমিকা
অনিবার্য উত্তরাধিকারের দায়ে।