কখনো বৃষ্টির শেষে মেঘের দিকে তাকালে জানালা পেরিয়ে - - -
যে দেশ কখনো দেখোনি, যে  দেশ দেখবেনা কখনও
                 সে দেশ দেখতে পাবে ।
দেখতে পাবে আদিগন্ত মাঠ - - - বনরাজিনীলা - - -
দিকচক্রবাল - - -
মরুভুম-ওয়েসিস , সমুদ্র – হিমাচল - - -
আকাশ-পৃথিবী যুগল – বক্ষোলীন - - -


এ দেশ কোথায় আছে
কোন ম্যাপে , ভূগোল –খাতায়,
যেন ব্ল্যাকবোর্ডে  সাদার হরফে
প্রথম ক্লাসের শেষে হাসি – হাসি মুখে
বলে, চলে গেলেন কোথায় যেন , স্নেহময়ী সেই তিনি,
আর কোনোদিন সে ক্লাসে যাইনি ফিরে ।


কবে যেন , কোন্ ছবিওয়ালা,
ঝুলির ভেতর থেকে বার করেছিল
অদ্ভুত এক শৈল্পিক যাদু - - - -
হেসে বলেছিল, ‘ তোমার ড্রয়িংরুমে
দেয়াল জুড়ে সাজিয়ে রাখবে বলে
চিরদিন ধরে এঁকেছি - - - -΄
কোথায় যে ছবিখানা গেল - - -
কখনো কখনো মেঘের ভেতর থেকে
সেই রঙ, সেই ছবি হেসে ভেসে ওঠে।
কোথাও মেরি-মাতা শিশু যীশু কোলে
মিলিয়ে যেতে- যেতে , পরম স্নেহভরে
দিব্য – আলোর রেশ রেখে যান তোমার পলক – না – ফেলা
চোখের পাতায়  - - -
সেই ছবি  দেখবে না আর কোনো
তীব্র  - আলো আট́-গ্যালারির
উজ্জ্বল পরিসরে।
পলকের দেখাটুকু নিয়ে
ছুটন্ত জানালার কাচ দিয়ে
মুছে – যাওয়া আলোর বিকেলে
চিরদিন মনের ক্যানভাসে
রঙ – তুলি – টানে বুলিয়ে চলেছে
যে রূপ, যে রেখা
বিকোয়নি আজো তাহা
রক্ত – ঘামের দরে ।


তাই আজীবন
                                         আধো- ঘুমে
আধো – আবছায়া মনে


স্বপনের রঙে রঙীন সে ফুল
ফুটে ওঠে আর ঝরে ।।