আমি যে কখনো জ্যান্ত ভূত হবো
সেকথা কি ছাই বিধাতাও জানতেন?
একদিন পাশের এঁদো পুকুরটায় ডুব দিয়ে উঠে
ভিজে কাপড়ে যেই দরজায় দাঁড়িয়েছি ----
শাশুড়ি ননদী আঁতকে উঠে বললেন
ওমা এ পেত্নীটা কেরে! বলেই
ঠাস করে সদরদরজা বন্ধ করে দিলেন
ঘরের ভেতর থেকে তাঁদের হুলুস্থুল কান্না
'পেত্নীটা আমাদের রূপসী বউটাকে খেয়ে ফেলল গো!'


গেলাম বাপের বাড়ি ----
ন্যাওটা বোনটা আমায় দেখে হাঁউমাঁউ করে পালাল।
পাড়ার যত কুকুরগুলো দিনদুপুরে তাড়া করে এল।
   কোথায় যাই?
ঘরের আয়নাটায় হঠাৎ চোখ পড়ে গেল
    একি!
সামনে যে দাঁড়িয়ে সে তো আস্ত একটা শ্যাওড়াগাছের পেত্নী!
বোনকে দরজা খোলার জন্য মিনতি করতেই
'বোঁনটিঁ দঁরজাটাঁ এঁকটুঁ খুঁলেঁ দিঁবিঁ '?
অমনি কুকুরগুলো আবার কেঁউমেঁউ করে উঠল
এবার কিন্তু রাগে নয়, ভয়ে।


আমি যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই লোকে ভয়ে পালাচ্ছে
জ্যান্ত ভূত দেখে --- তাও আবার দিনদুপুরে
কাছে আসতে সাহস নেই কারও।


আমি ঠাঠা রোদে একা একা দাঁড়িয়ে শেষপর্যন্ত
নিজেকেই নিজে ভয় করতে লাগলাম।