যদিও কনকচূড় কোনো নামী স্যাকরার তৈরি নয়
তবুও রিনি ঠিনি অলস দুপুরে ঘুমের ভাঁজে
জেগে উঠি পড়ন্ত বেলার সুগন্ধে
তোমার আলুলায়িত কবরী যায় খুলে
সেদিনও কি ছিলে অপেক্ষায়
যখন অফিস – ফেরত বাসে ভাড়া গুনছিলাম
তোমার কনকচূড় ঠেকছিল বারবার
ঘিয়ে ভাজা লুচির কড়াই – কানায়
সারমেয় হলে আমি
সেই গন্ধ করতাম অনুভব
বিশবাঁও জলের তলা থেকে।
হায়রে ভীরু অবোধ প্রেম
তোমার পাখায় চড়ে পৌঁছে যেতাম
শান্তনীড়ের কোমল প্রাঙ্গণে।
বলতো কনকচূড়
তুমিকি এখনো সেই হাতে সেজে আছো ?
যে হাত আজো কড়াইতে লুচি ভাজে
কিন্তু আমি আজ সারমেয় হয়ে
সেই গন্ধ পাবোনা করতে আঘ্রাণ
এমনি অফিস ফেরত ভিড়ে
তলিয়ে গিয়েছিলাম
আর ফিরে আসিনিকো এই
শান্তনীড়ের আদর গায়ে জড়িয়ে নেবার তরে।