নিমীলিত চেতনা উদ্দিপ্ত হয়ে উঠে,
ছায়াছবির মতো দৃশ্যপট আসে ভেসে,
শৈশব যৌবন বিবাহ সংসার সন্তান,
হাত ধরাধরি করে সামনে আসে।


কত মধুর স্মৃতি,সুখ দু়ঃখ বেদনা,
চকিতে চেতনায় যায় ঝিলিক দিয়ে,
মুখে ফোটে অস্ফুট করুণ স্বর,
স্মৃতির ঘোরে দুচোখে জল নামে।


কেউ নেই পাশে, সন্তানেরা দূরে,
তাদের দেখতে গভীর ইচ্ছা করে,
বিড়বিড় করে অস্ফুটে কিছু বলে,
শোনার কেউ নেই,তবু বলে চলে।


নিমীলিত চেতনা অন্তহীন নিমীলনে যায়,
শেষবারের মত উদ্দিপ্ত হয় কিছু পরে,
তারপর সব নীরব, গভীর ঘুম নামে,
চেতনা চলে যায় অনন্ত অন্ধকারে।


বন্ধনের শেষ সীমা নীরবে পেরিয়ে,
চলে যায় শুণ্যতার অশেষ পরিসরে,
মুক্তির সিংহদুয়ার পেরিয়ে কখন,
চলে যায় মৃত্যুর গহন আঁধারে।


*বিভূতিভূষনের উপন্যাসে সর্বজয়ার মৃত্যু দৃশ্য বর্ণনার ছায়া অবলম্বনে রচিত।