এখন সময়ের হাওয়া দোলায় চারিধার,
প্রেক্ষাপট অতীতের দিকে যায় সরে,
গ্রামের রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে মনে হয় বারেবারে,
কতকিছু নেই আজ আর,স্মৃতি শুধু আছে পড়ে।


সেই কাঞ্চন গাছটা নেই আজ আর,
ফুটাতো কত গোলাপী ফুল সবুজ পাতার মাঝে,
আপনমনে দিনে দিনে সাজাতো মালা কার,
হৃদয়ে শুধু সে স্মৃতি হয়ে জেগে আছে।


সেই মায়াবী বাঁশবন দেখা যায় না আর,
সাঁঝের বেলা বাঁশ বনে জোনাকী জ্বলে না,
কৃষ্ণচূড়া ফুলে ফুলে ভরে না পুকুরের পাড়,
ঝিঁঝিঁর ডাকে সাঁঝের বাতাস ভরে না।


টলটলে জলভরা ছিল খিড়কি পুকুর,
ঘাটের পাশের হেলানো আম গাছে,
আম খেতো টিয়ার ঝাঁক সারা দুপুর,
সে গাছ আজ জ্বালানী হয়ে গেছে।


সদর পুকুরটা বড় হোয়েছে বেশ,
পাশেই ছিল বকুল তেঁতুল বাদাম গাছ,
সবকিছুই আজ শুধু স্মৃতির রেশ,
কোথায় গেল তারা চলে আজ।


'সদর বাইরে'র ছিল ছাওয়া চাল খড়ের,
দুদিকে বসার জেয়গা,আড্ডা হতো কত,
কিছুই নেই আর-সব গেছে পড়ে,
শুধু মনে আছে সব স্বপ্নের মতো।


আমাদের বাড়ীটা-খড়ে ছাওয়া চাল,
ঘুঘু ডেকে যেতো বসে চালে,
কতদিন হল পড়ে গেছে সে বাড়ী,
শুধু স্বপ্নে ফিরে আসে বারেবারে।


কত স্মৃতির পাহাড় জেগে উঠে মনে,
সময়ের হাওয়া দোলায় চারিধার,
শুণ্যতা ঘুরে ঘুরে নাচে হৃদয়েতে,‌
বলে সে যায় - স্মৃতি তুমি বেদনার।