-----------------------------------
মহামান্য আদালতের সাম্প্রতিক একটি রায়কে কেন্দ্র করে সুধী সমাজে  গেল-গেল রব উঠেছে। ভার্চুয়াল কিংবা  প্রিন্ট  মিডিয়া সর্বত্র  সোরগোল।  কেউ পক্ষে,  কেউ বিপক্ষে বলছেন। সেই প্রেক্ষিতে আমার আজকের স্যাটায়ার ধর্মী লেখা। এতে কোনরকম ব্যাক্তি আক্রমণ নেই, সামগ্রিক উদ্দেশ্যে লেখা। যদি কেউ এতে ব্যক্তিগত কিছু খুঁজে পান তবে সে দায় তাঁর।


১। পরকীয়া


ব্যাভিচার
সে শুধু পুরুষের  অধিকার
পুরুষেরা করবে যত পারে
আনাদি কাল থেকে চলে এসেছে যেমন করে।
কিন্তু আপনি দেবেন রায়
নারী তারও থাকবে এই অধিকার
পছন্দের পুরুষ বেছে নেওয়ার  
কি করে সহ্য হয়  বলেন দেখি ?

আগল খুলে গেল দেখে কঠিন রাগ হচ্ছে কষে।
‘নিজের বেলা আঁটিশুঁটি পরের বেলা দাঁতকপাটি’ -
কুলোকে বলছে নাকি?
বলছে বলুক, তবু  
সমাজ যাবে রসাতলে, সইব কি করে বলুন দেখি?


চিন্তায় ঘুম নেই
রোজ দু/চার লাইন মাথায় মারছে উঁকি
পরকীয়া বিষম জ্বালা, আইন যদি না বোঝে ভালা
রাস্তা ঘাটে হাটে বাজারে শুধু দেখি চুমাচুমি
চারদিকে  টানাটানি ছানাছানি
হথাৎ এ  কি হল  বলুন দেখিনি?


চোখ মেলে কেউ দেখছে না একে
কিন্তু আমার চোখ ঠিকই  দেখে
এমন অনাচ্ছিস্টি কাণ্ড কারখানা
এখন বন্ধ হবে কিসে ?
সমাজের ভালোমন্দের ঠিকা
আমিই নিয়েছি একা
কোর্টের কি আছে কোন বুদ্ধি হে
ব্যাভিচারের অধিকার
পুরুষের শুধু একার
নারীদের শুধু সতী হতে হবে হে ।


মনে বড় দাগা দিছে
কোর্ট এমন রায় বকেছে
রোজ দু/ চারলাইন ঠেলা মারছে বুকে হে ।


২।প্রতিক্রিয়া


‘যদিও আমি বিশেষ জানি না’
(তাও মন্তব্য করতে বাঁধ মানি না)
তবুও কম কিছু বলিনি
পুরো জানলে এমন বলতাম
জজ মশায়ের চাকরী নিয়ে টানাটানি
পড়ে যেত বটে ।


যদিও আমি আদার ব্যাপারী
তবু করি বিধান জারি
চারদিকে উঠবে  জোয়ার, শুধু অনাচার, শুধু ব্যাভিচার
এই রায় সমাজের পক্ষে ভালো নয় মোটে ।
----------------------------------