ঠোঁট জ্বলছিল ঠোঁটের আহ্বানে
বুক পুড়ছিল বুকে ।
লাল হয়েছিল গ্রহণের চাঁদ
রাহু গিলছিল তাকে ।
তবু কি অসীম ভালোলাগা ছিল
ভালোবাসা ছিল দেহে ।।

তোমার চোখের কোলে কালি পড়েছিল
বিনম্র  কুচের  'পরে নখের আঁচড় ,  
আমি তার কারনের খোঁজে উন্মাদের মত
আকাশ পাতাল করে ছুটেছি যে কত -
  
গৌড়ের প্রাচীন জনপদে
চাইতে তৃষ্ণার জল, সরাইওলা ভাণ্ড ভরে
নিয়ে এল উজ্জয়ীনির সুরা ।    
আমার দুহাত ধরে ডেকে নিয়ে গেল
নগর-নটীরা,  
সমস্ত রাত্রি ধরে আমি
প্রত্যেকের কাঁচুলির নিচে দাগ এঁকে দিয়ে
পরীক্ষা করেছি, চিনতে চেয়েছি কোনটা নিজের ।  
মৃদঙ্গ বেজেছে, বেজেছিল বীণ, নেচেছি নিয়তির
তালে, মেখেছি আবীর -।


মঞ্চ প্রস্তুত ছিল, সারা মুখে কালি মেখে আমিও প্রস্তুত,
সমবেত দর্শকবৃন্দ আগ্রহে উদ্বেল, আমার আবেগময়
ভাষণের শেষে-
"জানেন ঈশ্বর" - বলে মৃত্যু চেয়ে নেবে তুমি ,
আমি অনুতাপের নামে, একটু গ্লিসারিনে, হাহাকার করে  
আসর মাতিয়ে দেব,  করতালি , করতালি, কেঁপে যাবে হল ।  
কিন্তু একি হল ,মৃত্যুশয্যা ছেড়ে সটান দাঁড়ালে তুমি ,
কি অনায়াসে সত্যি বলে দিলে -
               ভালো আর বাস না আমাকে।
               দাগের অধিকার তুমি দিয়েছ অন্যকে ।  
  
কি অনায়াসে , ভয়ংকর আগুনের মুখে  
আমাকে ছুঁড়ে ফেলে গেলে দেসদিমোনা  ,
এ সুধু জ্বালিয়ে যায় পুড়িয়ে করেনা শেষ,


কি অনায়াসে, মঞ্চে একা রেখে, চলে গেলে  দেসদিমোনা
কি অনায়াসে মৃত্যু দিয়ে গেলে ,  দেসদিমোনা ।  


         ---------শ্রীতরুণ   (২৩/৯/২০১৪)