* ইতিহাস
ব্যাবচ্ছেদ কিংবা গভীর কূটকচালই, সমস্তই নিজস্ব সীমানার খুঁটি উপড়ে ফেলতে চায়। কিন্তু পারে না। পারেনা বলেই আরও কাদামাটি ঘাঁটাঘাঁটি হয়ে সমূল সব গোড়া-নড়া দাঁত হয়ে যায়। বিশ্বাসে নুন ছড়িয়ে পড়ে , গলে গলে ছিদ্র খুঁজতে থাকবে অবিশ্বাস। আমাদের ভালবাসা, ঘৃণার সাজঘরে উঁকি দিয়ে দেখে , কি কি ঝলমলে বেশ রাখা আছে আগামীর নাচে। অভিনয় এমন কঠিন হয়ে পড়ে, মুখোস শরীরের অংশ হয়ে যায়। খুলতে পারি না, চাইও না আর। প্রতিবার এক সাজ, বার বার পরতে হয় যদি, খুলে কি লাভ ।
দেওয়াল লিখন লিখতে লিখতে ইতিহাস লেখা হয়। কাদের জন্য কে জানে ?
* * স্টোরি লাইন
শব্দগুলো কাঁপছিল। স্ক্রিনের উপরে। টলমল টলমল । ছিটগ্রস্থ কারসার তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছিল তাদের। অনেক রিফ্লেকটার নির্লজ্জ আলোর ফোকাস ফেলছে মুখে, জ্বলে যাচ্ছে চোখ । কোথায় দাঁড়াবে তারা ? উদোম পাতায়, কাঁকর রাস্তায়, মরা নদীর কিনার ধরে খালি পায়ে হেসে কেঁদে ছুটতে হবে তাদের। গল্পের খাতিরে। গল্প তখন মদ খেয়ে বেহুঁশ নর্দমার ধারে, ফেনা ওঠা মুখে। একটা কেলে কুত্তা কয়েক বার তার মুখ শুঁকে মুতে দেবে কিনা ভাবে। টি আর পি - যদি কাঁচি করে, যদি পাছায় লেঙ্গি মারে ,তাই ভয়ে দূরে দাঁড়িয়ে দ্যাখে। কষ গড়ানো রসে, ডেলি সোপ ফেনা তুলতে থাকে, ফেনা উপচে গড়িয়ে যায় । চায়ের টেবিলে, সোফায়, বারান্দায়, রান্না ঘরে, বিছানার রুটিন সঙ্গমের মাঝে ।
স্টোরি লাইন কোন লাইন মানে না। সে ফেনায় ঢেকে দেয় জীবনের যত যোগ -বিয়োগ ।
*** অরাজনৈতিক
সানগ্লাসে ছায়া পড়ে। ফুল, ফেস্টুন, শ্লোগান । ভিড় যত বাড়ে, কলরব যত ঘন হয়, মঞ্চের উচ্চতা তত বাড়ে। আমড়া, শিমূলের চারা বাড়ে । ইস্যু আসবে, ইস্যু যাবে, দিনে দিনে বেড়ে যাবে বনের গহন । বনের ভেতরে উঁকি দেবে একটা বাঘের মুখ । পুরাতন ফেস্টুন বিবর্ণ হয়ে যাবে মিছিলের মুখগুলির মত। নূতন জোয়ারে নূতন প্ল্যাকার্ড এসে ঢেকে দেবে সব। রক্তের গন্ধ শুঁকে শুঁকে মালা পরা বাঘ সানগ্লাসে ঢাকবে তার চোখ। জনরব যত বাড়ে , বিপ্লবের হোক বা না হোক, বাঘেদের বংশ বৃ্দ্ধি হয়।
---------------------------------------------------------------
-------শ্রী তরুণ (২০/১/২০১৫)