এক কামরার ঘর আমার
নিজের থাকার জায়গা হয়না ভালো করে
সেখানে জমেছে শব্দের জঞ্জাল, স্তুপাকারে ভরে ভরে

দরজা জানলা চেয়ার টেবিল
আলমারি উপচে মাথায় চড়েছে
বিছানা কার্পেট সব তাদের দখলে গিয়েছে
ভেঙ্গে যেতে বসেছে আমার খাট
পারে না সইতে নড়বড়ে পায়া,  শক্ত কঠিন শব্দের অভিঘাত  

বে-ঘর করেছে আমাকে, যখন তখন লাগছে ঠোকাঠুকি ,  
আমি ভয়ে ভয়ে নিজের ঘরে নিজে,  চোর হয়ে থাকি  
যদি আসতো   দুর্দান্ত কোন কালবোশেখি
উড়িয়ে নিয়ে যেত  তাদের , আশায় আশায় বসে আছি
বা যদি আসতো সে ফেরিওলা, কাঁধে যার  কবিতার ঝোলা
দুহাতে ভরে ভরে এই সব অপর্যাপ্ত শব্দ ধরে  
দিতাম ঝোলায় পুরে
নিয়ে যেত  সে , আমাকে মুক্তি দিয়ে


কবিতা ভীষণ মানিনী  এখন
মাড়ায়  না মোটে আমার বিতান
না পারি ফেলতে, না পারি গিলতে
আমি বসে বসে রত্নের ডাঁই  
শুধু পাহারাই দিয়ে যাই ........ ।


     ------ শ্রীতরুণ (২৭/২/২০১৫)