দীর্ঘতম চুম্বনের দাগগুলি রঙিন রুমালে বেঁধে নিয়ে গেলে
বাতাসে রয়ে গেল সেই সব অপূর্ব  জলে ভাসা শালুকগন্ধ
আমার সঞ্চয় বলতে আর রইল না কিছুই  
নদীর কিনার ধরে  বৈকালিক হাঁটাহাঁটি  
বিষণ্ণ বেঞ্চির কোল, বন্দরের অপশৃয়মান ভেঁপুর বিলাপ


প্রতিভাত হতে থাকে রূপের অসারতা ,
কামনাকে তিতিক্ষার হাঁপরে ফেলে তাপিত করিনি,  
অতিরিক্ত সিঞ্চনে ছত্রাক ধরেছে, অঙ্কুরিত হওয়ার আগে বীজের
ভেতরে প্রেম পচে গেছে  ।

পরগৃহে চলে গেলে , কতখানি ধুয়ে মুছে পেরেছ ভুলে যেতে ?
পেরেছ কি  আগুনে আহুতি দিতে রঙিন রুমাল   ?
যদি কোন অবসরে, নির্জন  বিমুক্ত ঘরে ,
অনবধানে নাম আমার  উচ্চারন করে
লাজ রাঙা হয়ে পড়, দেওয়ালের টিকটিকি
সে মুহূর্তে গিটকিরি দেবেই । সে আসলে প্রেতাত্মার মত
আমার অনাস্বাদিত প্রেম যত
বয়ে বয়ে করে  হাহুতাশ ।


ভালো থেকো, ভালো থেকো, বুক  ভরে ভালো থেকো
শুধু হঠাৎ অবসরে, মাঝে মাঝে ঘুম ঘোরে
নাম নিয়ে  জেগে  যদি  যাও
ব্যলকনির রেলিং ধরে  আগের অপেক্ষার মত একবার দাঁড়াও
যাকে অপ্রাপ্তি ভাসিয়ে ফেরে , এ বন্দরে ও বন্দরে
  সেই শালুকের ঘ্রান যদি পাও  


           -------   শ্রীতরুণ (১১/৪/১৫)