নৌকা ভাসে উপরে উপরে, নীচে দিয়ে নদী বয়ে যায় অগোচরে
একদিন হুঁশ ফিরে পিছনে তাকাই, দেখি কখন এসেছি চলে এই সুদূরে ।


সময় এমন করে টেনে নিয়ে গেল আমাদের
পৃথিবী উষ্ণ হল আরও, সুন্দরবন বিষাক্ত হয়ে গেল,
তোমার রূপের ঘরে বাসা বাঁধল ঘুনপোকা,  
চোখের বিদ্যুৎরেখা গেল নিভে
বুকের পাহাড় চূড়া  ভূমিকম্পে হল ধূলিসাৎ
তোমার পাগলাঝোরা  কেশ এঁদো বুড়িগঙ্গা  হয়ে গেল  

তাই কি নিজেকে গুটিয়ে নিলে  শামুকের খোলে ?
একদিন  রূপের আগুন জ্বেলে পুড়িয়ে ছিলে আমার অহংকার,
আজ তাকে খুঁজে পাওনা কি আর
তাই তোমার দৃষ্টিতে শুধু পরাজয়, শুধু সন্দেহ , শুধু ভয়
শুধু প্রশ্ন নিজই নিজেকে  – কোথা সেই উগ্র প্রণয় ?
আছে ? নাকি হারিয়ে গিয়েছে ?
ভালোবাসা কি শুধু অভ্যাস হয়ে যায় বিবাহের পরে  ?


আমি জানি সখী, সে আছে, নিশ্চিত আছে,
এতদিনে আমরা যে যৌবনের ভরা কোটাল উজিয়ে   হৃদয়ের  বদ্বীপে  পৌঁছেছি,
এখন আমারা যে দেহের লোনা জল ছেড়ে শীতল বৃষ্টি সরোবরে মানসে বসেছি
আমরা পেরিয়ে এসেছি কামনার কাঁটাবন, আশ্লেষের চড়াই উৎরাই
আমারা দুজনে পৌঁছেছি দুজনার গন্তব্যে  ,  আর কোন পিছু ডাক  নাই  ।।


                                         ------শ্রীতরুণ (২৩/৬/১৫)