( প্রিয় কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদ-এর মৃত্যু দিবসে তাঁর
প্রতি আমার শ্রদ্ধাজ্ঞাপন )
হলুদ পাঞ্জাবী ঝুলছে বারান্দায়
রাস্তায় দাঁড়িয়ে হিমু খালি পায়
সেই সন্ধ্যে থেকে কেশে কেশে
মিশির আলি বিছানা নিয়েছে
শুভ্র ও আনমনে আছে বসে
তাদের সাথে আমিও প্রতীক্ষায়
যদি কোন জাদু বলে তোমার কলম জেগে যায়
কম তো দাওনি তুমি সঙ্গের আনন্দ
দুপুর গ্রীষ্ম প্রহর, বুকে বালিশ দিয়ে উপুড় অনড়
অথবা মাথার ধারে স্তিমিত আলোয়
ঘুম হীন রাত্রিগুলো কখন ফুরালো
সাদা মাঠে কালো অক্ষরের ঘোড়া কি উন্মত্তটায়
ছুটিয়ে নিয়ে গেছে সময় অসময়
অনেক দিয়েছ তুমি অক্ষরে অক্ষরে
তবু তোমার গল্পের তৃষ্ণা, মনে ধূপ হয়ে পোড়ে
গল্প থেমে গেছে, কিন্তু সব গল্প কি ফুরায় ?
যেমন লীলাবতী , রূপা, জারি, কিংবা জননী জোছনায়
জন্ম বাউনডুলে হিমু , অতি চতুর মিশির
নন্দিত নরকে আসমানিরা তিন বোন থাকে
সুতো ছিঁড়ে চলে গেলে যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ
কুহুরানি বহুব্রীহি সম্রাট বা সাজঘর
দেওয়াল না হিজিবিজি হিমুর দ্বিতীয় প্রহর
আনন্দ বেদনার কাব্য গড়ে দারুচিনি দ্বীপের ভিতর
দীঘির জলে কার ছায়া গো বলে এলে বেলে সেজেছিলে বেশ
কে কথা কয় দরজার ওপাশে , আকাশ জোড়া মেঘ এনেছিলে
শঙ্খনীল কারাগারে কত রুপে কত ভাবে কত অনুভবে
কত কত চরিত্র এনেছিল ঝরঝরে কলমের আশবে
সব শেষ হয়ে গেছে
নাকি সব শেষ হয় না কখনো,
এখনো প্রিয় বর্ষা নামে টিনের ছাদে তুমুল অর্কেস্ট্রায়
এখনো হুলুস্থুল জোছনায় রাত ভাসাভাসি হয়
হয়তো এখনো সেই জোছনার হাত ধরে
বৃষ্টি খুঁজে ফেরে
নুহাশপল্লীর রাতজাগা সেই মুগ্ধ যাদুকরে
-------- শ্রীতরুণ
(১৯সে, জুলাই, ২০১৫)