(ফর্মঃ মুক্তগদ্য)
আজ এই মুহূর্ত থেকে আমি একটা অস্তিত্ববিহীন চাঁদ প্রতিষ্ঠা করলাম | সে ক্ষণিকের উপগ্রহ। উপগ্রহ কেন তাকে পূর্ণ গ্রহ করে দেওয়া যেত,   তবে সেটা পৃথিবী  মেনে নিতে পারবে না ,  রাগও করতে পারে। কে আর স্তাবকদের নিজের সমান আসনে বসতে দেয় ?


চাঁদ হল ।  কিন্তু সে করবে কি?  
সে হাসবে | সব সময় পূর্ণ হয়ে  থাকবে সাথে সাথে | ক্ষয়ে যাবে না , আবার নিজে নিজে বাড়বেও  না  |  দিনেও থাকবে, রাতেও থাকবে। আমি তার হাসি দেখব | আর কবিতা লিখব |
কবিতা লিখে কি হবে ?  এই প্রশ্ন করার আগে বল কবিতা পারেনা কি কি !
আসল কথা হল  কবিতা সব পারে, কি কি পারে বলছি একটু পরে |


হ্যাঁ, যা বলছিলাম, চাঁদ থাকবে, আলো দেবে, স্নিগ্ধ আলো, পরিশীলিত মিনমিনে আলো, হাত পুড়বে না, ঘাম হবে না, চোখ জ্বলে যাবে না চোখে চোখ রাখলে | সে শান্ত ধীর নিরালম্ব মধুর আলোয় বসে আমি ...... সেই সব হব  যেগুলো দিনের আলোয় হওয়া  যায় না | কারন  সূর্য তাকিয়ে থাকে | সূর্য বড্ড সত্য দেখতে পায়, সে  আসলে সকলকে নগ্ন করে দেয় | আমি তাকে এড়িয়ে বাঁচব নিজের মত কবিতার রাজ্যে গড়ে |


কবিতায় অনেককিছু হওয়া যায়, বাস্তবে যা যায় না  | প্রেমিক হওয়া যায় ,প্রতিবাদী হওয়া যায়, অগ্নি বর্ষী বিপ্লবী  সাজা যায়,  মহান দারিদ্রের বুলি ঝেড়ে  দরিদ্র সাজা যায় । ধার করে বলা যায়  - হে দারিদ্র তুমি মোরে...... এটসেটরা,  এটসেটরা । এবং সর্বহারা  গরীবের জন্য ফেলা যায় শুকনো কলমের ডগায় ঘটি ঘটি  জল  | নিজে যাই হই না কেন ন্যায়ের প্রতিভূ হয়ে করা যায় সত্য ধর্মের আহ্বান | এমনি আরও কত কি |
অতএব, প্রথমে চাই একটি চাঁদ না হলে সব বরবাদ |  


কিন্তু সমস্যা একটাই, আমার এই  সাধের টেম্পোরারি চাঁদ যদি কোন দিন সূর্যের সামনে পড়ে যায়,  দিবাকর পুড়িয়ে ফেলবে তাকে | তখন কি হবে ?
আমার সাধের কবিতাগুলি ভরা হাটের মাঝখানে লেংটা হয়ে যাবে | এক নিমেষে !  
তখন  আমি কিসের আড়াল নেব , আর তাদের  ঢাকব কিসে ?  


          ------------ শ্রীতরুণ (২৮/৭/২০১৫)