(১)
চৈত্রের ধূলো উড়ছে, কুন্ডুলী পাঁকিয়ে অথবা বিচ্ছিন্নভাবে। মানুষ জন বাইরে নেই তেমন। যেন দিনের বেলায় রাত্রির আমেজ, শো শো শুকনো বাতাস আর নির্জনতা। কড়া রোদ। মসজিদ'টা একদম নিঃস্তব্ধ, ধূলো ছিটকে গ্রিল বেয়ে ঢুকে পড়ছে বারান্দায়। ফতফত করে উড়ছে নামাজের সাদা কাপড়। এক পাশে ঝুলানো আছে খাটিয়া, কের কের কের শব্দ করছে তার শরীরের শুকনো কাঠ আর দুলছে।
(২)
কুন্ডুলি পেঁকে উড়ছে ধূলো। পথ ঘাট ফাঁকা। শো শো বাতাসে উড়ছে ঝরাপাতা। বাঁশবাগানের ভিতর থেকে ঝরা হলুদ পাতার স্তুপ বাতাসের তেড়ে ছুটে এসে পড়ছে কাঁচারাস্তার মাঝে। নিমগাছের ফুলের নীল পাপড়ি গুলো উড়ছে দু'চারটা। পাখিরাও নেই। কে যেন হাহাকারের মাদল বাজাচ্ছে এই নির্জন তপ্ত দুপুরে। ভয় নয় কি যেন করছে। তাড়া নয় কি যেন গিলছে।