কিসের এই প্রদীপ্তি যাতে ফুল ফোঁটে, মনকে ভরিয়ে দেয়।
সহস্র রঙ ঘুলতে থাকে, সুগন্ধে মাতিয়ে দেয় চারিদিক।
কিসের ওই দীপ্তি যাতে মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ করে কাউকে, কারো না কারো সঙ্গে।
লক্ষ অনুভুতি জাগতে থাকে একের পর এক, সেই কারো জন্যে।
চাঁদনী, ঝর্ণাধারা, গীত-বৃষ্টি, রংধনু, প্রজাপতি সবি যেন তারি ডাক পাঁঠায়।
ওই যে দেখো নদির ধারে কোন্‌ এক অচেনা পাখি, সুর পাঠায় আরেক পাখিকে,
আর এই যে নদির বহমানতা, ছুটেই চলছে নিদারুণ সাগর পানে!
এক যে নিলাম্বরী, আর তাঁর শাড়ীর আঁচল, বুকে প্রেম, অন্তরে মধু,
কল্প-নীড়েই তার বেহেশত, স্বামীর বাহুতলে।
আবার দেখো ময়ূর পেখম তোলে, মায়াহরিনী করে মায়া,
আবার চাঁদ সুরুজের আনাগোনা, আকাশের মাঝে নীলের মিশে যাওয়া,
পাখির ডানা মেলা, বউকথাকও, শালিক-শ্যামার জোড়া একসাথে উরে আসা।
আবার গহীন বনে, বিষাক্ত মাকড়শা, এলিগেটর, শিম্পাঞ্জী!
কোন আকর্ষণে ছুটে, কেনোইবা তারা হিংস্র হয়? আবার ভালোওবাসে।
তুমি কোথায় পাবেনা প্রেম! তাই আমাকে বল?
যেদিকেই তাকাই, এসবকিছুই তো ভালোবাসারি এক অপার কর্মধারা।
============
৩/১১/১৬
ধানমন্ডি, ঢাকা