কিছু শুকনো তাস, খেলুরের অপেক্ষায়,
গোটাকয়েক নিকোটিনের লাঠি, সাদা বক্স থেকে সদ্যই নিস্ক্রমিত,
পেগের পর পেগ ঠাণ্ডা-উষ্ণ-রঙিন-তরল জীবন-নাশা শান্তির,
সিরিঞ্জ ভর্তি রক্তখেকো হায়নাসম প্যাথেডিনের আবাস,
তাদের সাথে, এইযে টলটলে পঁচে যাওয়া কয়েক মানুষ ভর্তি বিবর্ণ রক্ত,
আবার, ক্লান্ত হৃদয়, কাউকে পাবার বুভুক্ষায় ও
এক আলগা, মেকি, কখনই ফিরে না পাওয়া প্রেম থেকে উৎখাত হওয়া হিংস্র মন!
আপন বৃত্তের বাইরে যাওয়া এক নির্জীব বিন্দু,
যা শুধু খুজেই বেড়ায় তার আসল অবস্থান
আরও সাথে সজীব থাকার উপক্রম,
কিন্তু পায়না কখনই!
এসব কিছুই কিন্তু মৃত্যু উদ্ভাবক, যাকে বলবে-
কিঞ্চিৎ জীবন থেকে সরে আসা এক অকেজ মানুষরূপী ইঞ্জিন,
কিংবা, লাইনচ্যুত হয়ে যাওয়া হঠাৎ ধিক্ষিত এক নিথর বগি,
যেন সিগনাল তোয়াক্কা না করা আত্মঘাতী এক কৃত্রিম মস্তিস্ক,
নতুবা, বেঠিক আবিষ্টে নিক্ষিপ্ত মানবাগ্নেয়াস্ত্র এক! ভ্রান্তিমুখে!
অথবা, ভুল ভাবে ঠুসে দেয়া এক ঘুড়ির মাঞ্জা,
যা শুধু কাঁট খায় বারবার, পড়তে থাকে বোকাট্টায়!
কিসের শান্তি কিসের সুখ, এই জাতীয় কীঁটদের?
আরো সহস্র কুৎসিতভাবে অলংকৃত করা যায় এজাতীয়দের!
==============
০৬-১১-২০১৬
রায়ের বাজার, ধানমন্ডি, ঢাকা