=========================


হয়েছে তো অনেক রাত, পুত্র এনেছে কিছু মাছ;
বউ বলে পারবো না কুটতে-কাটতে;
তোমার কি জ্ঞান নাহি, এনেছো এতো টাকি,
তোমার মা'কে দিয়ে কোটাও এবার হাতে।
দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিম আকাশে কালো মেঘে ঘনিয়ে গেছে,
দমকা হাওয়া বইবে এখনি;
শাশুড়ীর চোখে মুখে ঘূর্ণিঝড়ের মত করে
নিন্মচাপ সৃষ্টি হয়ে গেছে।


দশ নম্বর মহা-বিপদ সংকেত ধমকা হাওয়া বইছে
বিজলিও চমকাইতেছে পুত্রবধু দোলছে;
ধমকা হাওয়া এলে, বাঁধা দিবে বধুঁ বলে
সুন্দরবনের মতো পাখা মেলছে।
এসে দেখো নিড়ে দিবো কিন্তু ছিড়ে,
ছত্রভঙ্গ করবো গতি তোমায় আছে ঘিরে;
দিন দিন একি জ্বালায় জ্বলছি আমি সতত
হতে পারে ক্ষত বিক্ষত ভয় করিনা অতো।


বাপ-বেটা চুপ, বুকেতে ধুপ ধুপ,  শিলা বৃষ্টির হচ্ছে বরষন।
বজ্রপাতের ডরে,  থরে থরে ঘরে ; ধমকা হাওয়াও শুরু হয়ে গেছে;
মেঘে মেঘে ঘর্ষণ আরও আছে বর্ষণ, বজ্রপাত আর বৃষ্টি চলতে আছে।
কি করিবো হায়! উপায় নাহি পাই, কেন যে আনলাম এতো মাছ!


বাপ-বেটা কহে, বাতাস বাহিরে বহে
খাওয়া-দাওয়ার দরকার নাহি আর,
ঘুমাও যে যার খাটে না হয় চলো ঘাটে
এখানে থাকিলে স্বস্তিতে থাকা ভার।
কেন আনলে বৎস, অতো গুলো মৎস?
একবার খাটাসনে কেন মাথা!


এভাবে হবে জানিস, কেন রে তুই নাহি মানিস
মাঝে মাঝে বৃষ্টি ঝরে, হয়েছে কত ভেনিস!
শত বুঝিলেও বাপু! কখন যে হয়েছি কাবু
ঝড় কি বলে কয়ে আসে?
কি করিবো হায়! বুঝিতে পারিনি তায়!!
ভুল বুঝি আমার হয়ে গেছে।
থাকরে বাপ কসনে কথা, উঠতে পারে পিঠে ঝাঁটা
ওরাই থামবে ঝরায়ে সব কথা।
বউ-শাশুড়ীই এমন, কোথাও নাই শান্ত বামুন
মহা-বিপদ তাদের সাথে গাঁথা।


=========================
২৪/০৫/২০
আমতলী, বরগুনা।