=================


কত দিন ধরে খেয়ে না খেয়ে
ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে,
কত যতনে জমা করেছিলেন
ঘর মেরামতের স্বাদে।
মানবতার কাছে হেরে গিয়ে যিনি
করে দিলেন সব দান,
মনুষ্যত্বের সেরা দৃষ্টান্ত রাখলেন
ভিক্ষুক নাজিমুদ্দিন।
শেষ সম্বলটুকু রাখে না তার হাতে
ভাবেনিও সে একবার,
স্বত্বত্যাগে দান করলেন তিনি
পুরোই দশ হাজার।


অনেক শেখার আছে নাজিমুদ্দিনের কাছে
মনুষ্যত্ব কারে কয়?
মহৎ উদ্দেশ্যে দান করলেন ত্রাণ তহবিলে
দুস্থদের দিবে তায়।
কতো বিত্তশালী আর কত মহাজন
আছে বাংলার বুকে,
কারো বাঁধলো না চোখে, মহামারীর তান্ডব
থাকতেও তারা সুখে।


মরিয়া যাইতে পারে যখন তখন
টাকা খাবে জানে মানষ্যে,
যদি কাজে লাগে ত্রান তহবিলে দিলে
সওয়াব আসবে তব শেষে।
করোনার এই দূর্যোগে আছে কত মানুষ
আছে না কত দুঃখে,
ত্রান তহবিলে দিয়ে দুস্থদের করছে দান
অন্ন দিতে তাদের মুখে।


শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায়
গান্ধীগাও গ্রামে তার জন্ম,
জন্ম হয়েছিলো বুঝি দান করিবার লাগি
দুস্থ অসহায়দের জন্য।
আরও করেছেন দান বিলিয়ে দিয়ে প্রান
মসজিদ, মাদ্রাসা আর দীনে,
বহুদিনের জমানো অর্থ দান করে দিয়ে
বাড়ায়ে নিলেন তার মান,
বিশ্বের ইতিহাসে তিনিই দৃষ্টান্ত একজন
মনুষ্যত্বে এক মহান।
======================
২৮/০৪/২০
আমতলী, বরগুনা।