==================
করোনা তুমি রেখো না ধরে
সব কিছু দাও ছেড়ে,
ক্ষুধার জ্বালায় মরতে বসছি
খাদ্য নাই মোর ঘরে।
আটক করলে বদ্ধ রাখলে
অচল করলে দেশ।
আর কত! না খেয়ে থাকবো?
ক্ষুধার জ্বালায় শেষ।


বন্ধ হলো ট্রেন চলাচল
বন্ধ আছে গাড়ি,
পারছে না কেউ পাড়ি দিতে
নিজে নিজের বাড়ি।
দিন মজুরের কাজ বন্ধ
ঘরে জ্বলে না হাড়ি,
বাচ্চারা তো খেতে না পেয়ে
কাঁদছে সারি সারি।


কাজের জন্য আকুতি মিনতি
এক মুঠো ভাতের জন্য,
যার কাছে যায় সেই বলে দেয়
নাই কিছু সব শুন্য।
রাস্তায় নামে না করোনার ভয়
পেটের জ্বালা কেমনে সয়?
কথা বলে না কেউ কারো সাথে
সবাই যেন দূরে রয়।


বাচ্চা আমার কাঁদছে ঘরে
অশ্রু জলে সিক্ত,
বিরোহ বেদনায় বুক ফেটে যায়
হয়ে উঠেছি তিক্ত।
দারিদ্রতার ছোয়ায় ছিলাম অর্ধাহারে
অনাহারী কত দিন,
ক্ষুদার্ত সবাই আকাশের পানে
চেয়ে আছি নিশিদিন।


করোনায় মোরে মারবে না কখনও
মরবো ঘরে ক্ষুধায়,
কাজ দাও আমি কাজ করতে চাই
অর্থ করবো আয়।
ঘরে মা কাঁদছে পেটের পিঁড়ায়
ঔষধের নাই দেখা,
ঘর থেকে কেউ বের হবেন না
দরজার সামনে লেখা।


আর কত তুমি না খেয়ে রাখবে?
আর কত নিবে প্রান,
এবারের মত ক্ষমা করো ওহে!
গাইতে তোমায় শান।
তুমি হলে মোদের মুক্তিদাতা,
প্রভু তুমিই রব,
সব কিছু তো তোমারই দান হে!
মাফ করো সব পাপ।
=======================
৩/০৪/২০
আমতলী, বরগুনা।