সত্য ঘটনা অবলম্বনে একটি কবিতা উপস্থাপন করার চেষ্টা করলাম।
****************************


লোভে পরে বিষাদ করে তর্জনী তুলে কয় কথা,
জমির বড়াই কথায় কথায় দাম্ভিকতা যেন অযথা।
আমার বেশি জমি-জমা কাগজপত্রে দেখে যান,
এই বাড়িতে আমি হলাম জমিদারের একজন।
ভুল হয়েছে লিখতে কিছু ভাবছে সেটা হেবাদান,
পঞ্চভ্রাতার সমান সুযোগ সমান হবে অবদান।
আলাদা আলাদা হেবানামা তিনটিতে করেছে দান,
প্রথমটি দুই নাতিনীর নামে সেটায় অল্প কিছু কম।
পরেরটি তিনপুত্রের নামে একই সাথে হেবায় দান,
সেথায় ছিলো তৃতীয়পুত্রের সশিক্ষিত শশুরজান।
সেই হেবাতে জমি বেশি অনেকখানি লিখে নেন,
পরের হেবাতে মেঝপুত্র বিঘা তিনেক কম পান।
সমতা হারালো দ্বন্দ বাড়ালো বুদ্ধিমান শশুরজান,
চিরান্তন তার কুটবুদ্ধিতে, নাতনীরা হলো বিষেরবান।


শরিকদারী জমি জমা একজন বেশি একজন কম,
কন্যা সন্তানেরা চির-বঞ্চিত, সেই শশুরের সব কারন।
ভালোবাসেনি মেয়ে-জামাই ভালোবাসেনি নাতনীদের,
যন্ত্রণার শুলে দাঁড়িয়ে সদা কখন কাটবে মুন্ডু-শির।
দিন দিন জমির ঝগড়ায় জড়ান হাঁটতে বসতে একই গান,
এটা আমার ওটা আমার আপনারা বাড়ি ছেড়ে যান।
মেঝভ্রাতার তিন নাতনী একটা হলো বিষাধর,
ক্রোধে গর্জনে হেকে বলে কোন জায়গা নয় তোমার।
আসলে তোমার মুন্ডু যাবে প্রস্তুত আছি সর্বদায়,
জমিজমায় কাজ হবে না ধাড় দিয়েছি রামদায়।
জমি বিঘা তিন ঠকিয়েছো মোদের ত্রিশ বছর ধরে,
হাক ডাক দিয়ে আসলে এবার রাখবো না আর ঘরে।
কাগজে তোমার নামে থাকলেও ভোগ দখলে আমার,
এসে দেখো জমির কাছে রাখবো না শিরে মুন্ডু তোর।
বিষাদের জ্বালা জ্বলে অন্তরে জমি হলো বিঘা তিন,
মানবতা থাকলে অন্তরে বাজিতো এটাই বুঝি চিরঋণ।


******************************
আমতলী, বরগুনা
০৫/০৬/২০