****************


জল নাহি তার চোখে, কাঁদে না পুরুষ লোকে;
ঝরে না চোখে জল কান্না চলে বক্ষে।
হৃদয়ে চলে রক্তক্ষরণ যেন ওষ্ঠ টলমল;
ব্যাথায় জ্বলে যায় বুক তবুও মুখে হাসির ছল।
সংসারের ঘানি বয়ে, চলে সদা হাসি মুখে;
কাঁদলো না তব চক্ষে, থাকলেও শত দুখে।
পুরুষ তো কাঁদতে জানে না, ঝরে না অশ্রুঝরা
অভিমানে হৃদয় হয়ে থাকে সদা চৈত্রের খড়া;
বুকে ব্যাথার অনুভব করেও সহ্য ধরে মনে,
আঘাতে প্রতিঘাত করে না ধৈর্য্য ধারন করে।


পুরুষের কান্না দেখার মত চক্ষু আছে ক'জনার?
দেখতে হলে চেয়ে দেখো, তাদের ওষ্ঠোধার!
চোখে নাহি জলের ধারা, করে না কভুও চিৎকার;
মনের গভীরে অগ্নিধারা হৃদয় পুড়ে ছারখার।
কান্নায় জলে ভাসিয়ে নিলে, অগ্নিজ্বালা হয় শান্ত;
হৃদয় কান্না জ্বলে সর্বদা হয়না কভুও ক্ষান্ত।
পুরুষের আছে হৃদয়ের কান্না অদৃশ্য বেদনা,
হাহাকারের অগ্নিধারায় মাঝে অপ্রকাশই সাধনা।


**********************
১৮/০৫/২০
আমতলী, বরগুনা।