কল্পনায় কখনও আমি হয়ে উঠি রাখাল বালক,
যার বাঁশির সুরে সুরে হৃদয়ে জাগে প্রেমের ঝলক।
উতলা হয় এক কিশোরী পল্লীবালার মন,
দুটি হৃদয়ের মহামিলনে হাসে কুঞ্জবন ;
রচিত হয় এক হৃদয়হারা মরমীয়া প্রেমকাহিনী,
বিচ্ছেদই যার পরিণতি, শুনি তারই প্রতিধ্বনি।
কল্পনায় কখনও আমি হয়ে যাই রাজকুমার,
দুরন্ত এক হার না মানা বিজয়ী বীর রূপকথার,
ডাইনি বুড়ির বন্দিনী রাজকন‍্যাকে করি উদ্ধার,
ডানাকাটা পরী ভেবে আমি মন পেতে চাই তার।
সে যে ইন্দ্রপুরীর অপ্সরা ছলনার আধার,
হঠাৎ সে হারিয়ে গেল মন ভেঙ্গে আমার।
কল্পনায় কখনও হই আধুনিক প্রেমিক পুরুষ,
নারীর সান্নিধ‍্যে নারীর পরশে আমি যে বেহুশ।
প্রিয়তমা নারী দেয় তার দেহ-সূধা ডেলে,
আমি হই শুধু তার, বেদনার স্মৃতি যাই ভুলে !
কল্পনায় আমি ভালবাসার অভয়রন‍্যে হরিয়ে যাই,
মিথ‍্যে অঙ্গীকারে অবশেষে বিরহের যন্ত্রণা পাই।