আমি একটা স্বপ্ন দেখেছি অদ্ভুত এক স্বপ্ন ,
দেখি গহীন অরণ্যে আমি একা ধ্যানে মগ্ন ;
আমি ঋষি সৃষ্টিকর্তার কৃপার লাগি কাদছি ,
স্রষ্ঠার সান্নিদ্য পেতে নিবিষ্ট মনে বসে আছি ।
বনের সব হিংস্র পশুরা আমায় ঘিরে আছে ,
বনের রাজা সিংহ বসে আছে আমার পাশে ;
মনে হচ্ছে সে আছে ধ্যান ভাঙ্গার অপেক্ষায় ,
ধ্যান ভাঙ্গলেই ঘার মটকে খাবে সে আমায় ।
সিংহটা বার বার তাকিয়ে আমাকে দেখছে ,
আমি একটু নড়াচড়া করলে সেও উঠে বসে ;
আমি শঙ্কিত ভেতরে আমার কাপন লেগেছে ,
সিংহের গর্জনে ভয়ে আমার ধ্যানও ভেঙ্গেছে ।
হঠাৎ দেখি সিংহ এগিয়ে আসছে আমার পানে ,
আমি ভান করে থাকি যেন মগ্ন আছি ধ্যানে ;
ঘারে আমার সিংহের গরম নিঃশ্বাস আছরে পড়ে ,
এখনই ঘার মটকে সে আমায় নিয়ে যাবে বাগারে ।
অনেকটা প্রহর কাটলো কেউ ঘার আর মটকায়না,
থেমে থেমে সিংহের গর্জনও আর শোনা যায়না ;
আতঙ্কে চিৎকার করে উঠি আমি পালাতে চাই ,
চোখ খুলে দেখি চারপাশে পশুপাখী কেউ নাই ।
একা গহীন অরণ্যে বসে আছি বহুক্ষন ধরে ,
ঘুট ঘুটে অন্ধকার জোনাকিরাও ফিরেছে ঘরে ;
ভয়ঙ্কর অতলান্ত নির্জনতায় ডুবে আছি আমি ,
অজানা শঙ্কায় কাপে হৃদয় অস্থির অন্তরযামী ।
আমি চোখ বন্ধ করে থাকি ধ্যানে মগ্ন হতে চাই ,
মনে মনে বাসনা বিধাতার বরমাল্য যেন পাই ;
আবার সিংহের গর্জন এবার আর রক্ষা নাই ,
এই বুঝি ঘার মটকালো ভয়ে দৌড়ে পালাই ।
মৃত্যু ভয়ে আমার ঈশ্বর প্রেমের ধ্যান ভাঙ্গলো,
আতঙ্কে চিৎকার করে উঠতেই স্বপ্ন ভঙ্গ হলো ;
বিপদে প্রাণ বাঁচাতে হৃদয় হয়েছে আকুল,
জগতে টিকে থাকতে আজ সকলে ব্যকুল ।